অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলার জন্য এক বছর ধরে নিজেদের প্রস্তুত করেছে বাংলাদেশের যুবারা। অপেক্ষার প্রহর এবার শেষ হতে চলেছে তাদের। বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরে অংশ নিতে সোমবার দিবাগত রাত পৌঁনে একটায় ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
তার আগে বিকেলে হয়ে গেল আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন। পরে নিজেদের লক্ষ্য ও স্বপ্নের কথা জানান দলের অধিনায়ক সাইফ হাসান ও সহ-অধিনায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুব। জুনিয়র টাইগারদের দুই সেনানি আশাবাদী ভাল কিছু নিয়েই দেশে ফিরবেন তারা।
ঘরের মাঠে গত বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলেছিল মেহেদী হাসান মিরাজের দল। সেটিই যুব বিশ্বকাপের ইতিহাসে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য। মিরাজদের দলে ছিলেন বর্তমান অধিনায়ক সাইফও। নিজের অভিজ্ঞতার মন্ত্র দলের ভেতর ছড়িয়ে দিয়ে আগেরবারের সাফল্যকে ছাড়িয়ে যেতে চান এ তরুণ, ‘অবশ্যই লক্ষ্যটা থাকবে এক নম্বর হওয়ার। কিন্তু ধাপে ধাপে যাব, ম্যাচ বাই ম্যাচ যাব। ওখানে প্রথম রাউন্ড পার হলেই কোয়ার্টার ফাইনাল আছে, ওভাবে ধাপে ধাপে আগানোর পরিকল্পনা।’
এবারের বিশ্বকাপে টেস্ট খেলুড়ে ১২টি দেশ ও ৪টি সহযোগী দেশের যুব দল অংশ নেবে। তুলনামূলক সহজ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। ‘সি’ গ্রুপে টাইগারদের সঙ্গী নামিবিয়া, কানাডা এবং ইংল্যান্ড। কাউকেই ছোট করে দেখছেন না সাইফ ‘আসলে অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে যে কোনো দল জেতার সামর্থ্য রাখে। শেষ এশিয়া কাপে দেখেছেন নেপাল ভারতকে হারিয়েছে। ভারত বাদ পড়েছে। তো কাউকেই ছোট করবো না। নামিবিয়া আছে, কানাডা আছে। তাই ধাপে ধাপেই আগাবো।’
বিশ্বকাপের আগে মালয়েশিয়ায় হয়ে যাওয়া এশিয়া কাপে ভাল খেলেছে বাংলাদেশ। সেটি অনুপ্রাণিত করছে যুব দলকে , ‘নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন আমাদের জন্য অবশ্যই কঠিন হবে। তবে আমাদের প্রস্তুতি ভাল ছিল। শেষ এশিয়া কাপে খুব ভাল ক্যামব্যাক করেছি। নিউজিল্যান্ডে আমাদের প্রস্তুতি ক্যাম্প আছে। প্রস্তুতি ম্যাচ আছে। ওখানে থেকে আমরা ভালটা নেয়ার চেষ্টা করব।’
যুব বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর শুরু হবে ১৩ জানুয়ারি। তার আগে প্রস্তুতি ক্যাম্প হবে ডানেডিনে। সেখানে প্রাদেশিক দলের সঙ্গে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে সাইফ-আফিফরা। ১,৩ ও ৫ জানুয়ারি ওটাগো একাদশের সঙ্গে ইউনিভার্সিটি ওভাল মাঠে খেলবে সাইফ-আফিফরা। ৬ জানুয়রি আইসিসি নির্ধারিত প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে ক্রাইস্টচার্চে যাবে যুবারা। প্রস্তুতি ম্যাচ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে।
দুটি দলই বেশ শক্তিশালী। তবে এটিকে ভাল প্রস্তুতির জন্য সুযোগ হিসেবে দেখছেন আফিফ। এই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানের মতে, ‘আমরা বিশ্বকাপে তো যাচ্ছি অনেকদিন আগে তো ওখানে প্রস্তুতি ম্যাচগুলো খেলে ভালো প্রস্তুতিই নিতে পারব। ওখানকার ম্যাচগুলোই কাজে লাগবে।’
নিজেদের এবং দলের লক্ষ্য নিয়ে আফিফ বলেন, ‘আমার নিজের লক্ষ্যটা থাকবে ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলা এবং সেরাটা দেয়া। মূল আসরের আগে বড় দুই দলের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ আছে। এটা কাজে লাগবে, কারণ ভাল টিমের সাথে খেলা। ভাল প্রস্তুতি নেয়া যাবে। সবাই যদি ভালভাবে নিজেদের সেরাটা দিতে পারি। সবাই একত্রে থেকে যদি আমাদের ভাল পারফর্মটা করতে পারি তাহলে ভাল কিছু নিয়েই দেশে ফিরতে পারব।’
১৫ সদস্যের দল: পিনাক ঘোষ, নাঈম শেখ, সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব, তৌহিদ হৃদয়, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মো: রাকিব, মাহিদুল ইসলাম ভূইয়া অঙ্কন (উইকেটরক্ষক), শাকিল হোসেন (উইকেটরক্ষক) রবিউল হক, নাঈম হাসান, কাজী অনিক ইসলাম, রনি হোসেন, হাসান মাহমুদ, টিপু সুলতান।