মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রীতি ম্যাচে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে ৫৯ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
মঙ্গলবার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ১৫ ওভারের ম্যাচে বিসিবির দেয়া ১৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি মন্ত্রণালয়ের খেলোয়াড়রা।
বিসিবি একাদশের পক্ষে খেলতে নামেন আকরাম, নাঈমুর, হাবিবুল, মিনহাজুলদের মতো বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়কেরা।
মিরপুরের সবুজ গালিচায় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ফেরদৌস আলম করেন সর্বোচ্চ ৩১ রান। এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান থাকেন অপরাজিত। সায়েম মেহেদীর ব্যাট থেকে আসে ১২ রান।
যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও দলীয় অধিনায়ক জাহিদ আহসান রাসেল ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। এই তিন ব্যাটসম্যান ছাড়া দুই অঙ্ক পার করতে পারেননি কেউ।
হাসিবুল হোসেন শান্ত, এনামুল হক মনি নেন একটি করে উইকেট।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সজল চৌধুরীর ফিফটি ও জামাল বাবুল ঝড়ো ইনিংসে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান তোলে বিসিবি। হান্নান সরকার ও বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন ৩৫ রান।
১৯ বলে ২০ রান করে হান্নান সাজঘরে ফিরলে ভাঙে জুটি। তিনে নামা মিনহাজুল আবেদিন নান্নু রানআউট হয়ে ফেরেন ৩ বল খেলেই। কোনো রান না করে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
কিছুপরই আউট হয়ে যান নাঈমুর। এ ব্যাটসম্যান করেন ২১ রান। সজল ৩০ বলে ৫৬ ও জামাল ১৮ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন শেষদিকে। তালহা জুবায়ের ১ রান করে থাকেন অপরাজিত।
ম্যাচশেষে খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতা দিবসে সবসময়ই ছোটখাটো ম্যাচ আয়োজন করে থাকি। সাধারণত সেটা হয়ে থাকে বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে। এবার ব্যতিক্রম, আমরা খুব আনন্দিত যে, ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আমাদের সাথে খেলার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ম্যাচটি আরও আকর্ষণীয় হয়েছে এই কারণে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী নিজে খেলেছেন। এ ধরণের আয়োজন আগামীতেও চলবে।’
প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘প্রথমবারের মতো বিসিবির সঙ্গে ম্যাচ খেললাম। আমি মনে করি এর মাধ্যমে আমাদের যে সুসম্পর্ক রয়েছে সেটি আরও দৃঢ় হবে এবং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। এটিকে সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতি বছর ম্যাচ আয়োজন করতে চাই। আশা করি ক্রিকেট বোর্ড আমাদের পাশে থাকবে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে এ ধরণের ম্যাচ বড় পরিসরে বিসিবির সঙ্গে আমরা আয়োজন করতে চাই।’