মুজিব জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শুরু হয়েছে যুবলীগের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।
সোমবারের এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এবং অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, পাক হানাদার বাহিনী বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার জন্য আমাদের দেশের কৃতি সন্তান, মেধাবী প্রফেসর, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিককে বেছে বেছে ঘরে ঘরে ঢুকে তাদেরকে তুলে নিয়ে নির্মম দুর্বিসহ অত্যাচার-জুলুম করে হত্যা করা হয়। আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সকল শহীদকে ও সহানুভূতি জানাই তাদের পরিবারের প্রতি।
তিনি বলেন, আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছি হাজার বছরের অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যার নেতৃত্বে ৯ মাসের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমি আরও শ্রদ্ধা জানাই ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনদের যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে আজকের এই বিজয় অর্জিত হয়েছিল। আমি আরও শ্রদ্ধা জানাই আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি ও আমার মা শহীদ আরজু মণিকে।
যুবলীগ প্রকাশিত “প্রিয় বঙ্গবন্ধু” গ্রন্থে সন্নিবেশিত যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের লেখা চিঠি থেকে বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও আবৃত্তি শিল্পী আফসানা মিমির পাঠের ভিডিওচিত্র প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।
সপ্তাহব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভ্রাম্যমান চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর জন্য রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্থানে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শীত হচ্ছে। গত ১৩ ডিসেম্বর, বিকাল ৪:৩০ মিনিটে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ প্রাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘শ্যামলছায়া’ প্রদর্শীত হয়, ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা ভাটারা নতুন বাজার এলাকায় বিকাল ৪:৩০ মিনিটে চিঠি সংকলন “প্রিয় বঙ্গবন্ধু” গ্রন্থ থেকে পাঠ শিল্পী আফসানা মিমি, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি’র উপর নির্মিত তথ্যচিত্র, চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু ও গেরিলা ছবি প্রদশিত হয়, ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে বিকাল ৪:৩০ মিনিটে প্রদর্শিত হবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র “চিত্রা নদীর পাড়ে”, ১৬ ডিসেম্বর বিকাল ৪:৩০ মিনিটে রাজধানীর ফার্মগেটে আনন্দ সিনেমা হল প্রাঙ্গণে প্রদর্শিত হবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র “জয়যাত্রা”।
এছাড়া, ১৭ ডিসেম্বর বিকার ৪:৩০ মিনিটে রাজধানীর নিউ মার্কেটে প্রদর্শিত হবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র “আগুনের পরশমণি”, ১৮ ডিসেম্বর বিকাল ৪:৩০ মিনিটে রাজধানীর বনানী টিএ্যান্ডটি মাঠে প্রদর্শিত হবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র “জীবন থেকে নেয়া”, ১৯ ডিসেম্বর বিকাল ৪:৩০ মিনিটে রাজধানীর ভিক্টোরিয়া পার্কে প্রদর্শিত হবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র “জীবন থেকে নেয়া” এবং ২০ ডিসেম্বর বিকাল ৪:৩০ মিনিটে রাজধানীর উত্তরা রাজলক্ষ্মীতে প্রদর্শিত হবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র “আমার বন্ধু রাশেদ”।