গত বছর, সেপ্টেম্বরের শেষদিকে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদকে ২-১ গোলে হারিয়ে রূপকথার জন্ম দিয়েছিল শেরিফ তিরাসপোল। প্রতিযোগিতাটির সফলতম দলকে তাদেরই মাঠ বার্নাব্যুতে হারানোর পর মলদোভার ক্লাবটিকে ঘিরে আলোচনার ঝড় উঠেছিল।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে ফুটবল ক্লাব শেরিফ আবারও আলোচনায়। এবার মাঠের খেলার জন্য নয়, দলের ইউক্রেনীয় কোচ ইউরি ভার্নিদুব দেশের হয়ে যুদ্ধ করতে ইউরোপা লিগ ছেড়েছেন।
ভার্নিদুব জানান, রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দেয়ায় তিনি ভয় পান না। যখন তার ছেলে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনকে রাশিয়া আক্রমণ করার পর ফোন করেছিল, তখন জানতেন যে যুদ্ধ করতে ইউক্রেনে ফিরে আসবেন।
ইউরোপা লিগের নকআউট খেলার জন্য শেরিফ তিরাসপোল পর্তুগালে অবস্থান করছিল, তখন ভার্নিদুব যুদ্ধের খবর পান। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তিনি ইউক্রেনে যাওয়ার আগে পর্তুগাল থেকে রোমানিয়া এবং তারপর ট্রান্সনিস্ট্রিয়ার তিরাসপোলে গিয়েছিলেন। পরেরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
৫৬ বছর বয়সী কোচ বলেছেন, ‘আমার কাছের লোকেরা আমাকে থামানোর চেষ্টা করেছিল। আমার স্ত্রী, সন্তান, নাতি-নাতনিরা থামাতে চেয়েছিল। আমি শক্ত অবস্থানে ছিলাম এবং আমাকে সমর্থন করার জন্য আমার স্ত্রীকে ধন্যবাদ।’
সেনাবাহিনীতে তার ভূমিকা কী সেটি প্রকাশ করার অনুমতি নেই জানিয়ে শেরিফ কোচ বলেছেন, ‘তারা আমাদেরকে যেখানে বলবে, সেখানে প্রতি মিনিটে আমরা যেতে প্রস্তুত। আমি এখনও আমার অস্ত্র ব্যবহার করিনি। কিন্তু সবসময়, যেকোনো সময় প্রস্তুত আছি।’