সিরিয়ায় আসাদবিরোধীদের প্রশিক্ষণ দেয়া বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিদ্রোহীরা জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে এমন খবর প্রকাশের পরেই সিরিয়ায় মার্কিন নীতিতে এই পরিবর্তন এলো।
সিরিয়ায় রাশিয়ার ছোঁড়া ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের কয়েকটি ভুল জায়গায় আঘাত হেনেছে বলে অাবারো দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সিরিয়ার আকাশে যুদ্ধবিমানের সংঘর্ষ এড়াতে এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার প্রস্তাবে সম্মতি প্রকাশ করেছে রাশিয়া।
সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরোধী শক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা পুরনো খবর। নতুন খবর, বিদ্রোহী এসব জোটের বিষয়ে মার্কিন নীতির পরিবর্তন। এতোদিন ধরে আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে এলেও, তা বন্ধ করে দেবে পেন্টাগন।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার জানান, যোদ্ধাদের ট্রেনিং বন্ধ থাকলেও, বিদ্রোহী নেতাদের প্রশিক্ষণ চলবে। অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহও অব্যাহত থাকবে।
সিরিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির এতো বড় পরিবর্তন স্বেচ্ছায় নয়। গেলো সেপ্টেম্বরেই মার্কিন সেনাবাহিনী স্বীকার করে, তাদের দেওয়া অস্ত্র আর গাড়ির চালান আল-কায়েদার সহযোগী আল-নুসরা ফ্রন্টের হাতে তুলে দিয়েছে বিদ্রোহীরা।
এমনকি, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৫০ জনেরও বেশি যোদ্ধা যোগ দিয়েছে নুসরা ফ্রন্টে। সিরিয়ার আকাশে রাশিয়ার অবাধ বিচরণের বিপরীতে মার্কিনীদের সিদ্ধান্তে পিছুহটাকে পেন্টাগনের নীতিগত পরাজয় বলছেন বিশ্লেষকরা।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি রাশিয়া যে ২৬টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সিরিয়ায় আঘাত হানার দাবি করেছে তাকে অসত্য বলছে মার্কিনীরা।
পেন্টাগনের দাবি ৪টি মিসাইল ইরানের ভূ-খণ্ডে আছড়ে পড়েছিলো। তবে রাশিয়া বলেছে, সবগুলো ক্ষেপণাস্ত্রই লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে।