মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, ব্রোঞ্জ, ব্রুকলীন আর এ্যাস্টোরিয়ায় খুব সহজেই চোখে পড়ে বাংলায় লেখা সাইনবোর্ড। তিন দশকের মধ্যে সেখানে বেশ শক্ত হয়েছে বাংলাদেশীদের অবস্থান। কঠোর পরিশ্রম আর চেষ্টায় সেখানকার ব্যবসা-বাণিজ্যে আগামীতে আরো এগিয়ে যাবে বলে আশা করেন পাইওনিয়ররা।
নিউইয়র্কের যেসব এলাকায় ইংরেজি ভাষা ব্যবহার না করেও যে কেউ চালিয়ে দিতে পারেন মাসের পর মাস তার মধ্যে জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, ব্রোঞ্জ, ব্রুকলীন আর এ্যাস্টোরিয়া অন্যতম। বাংলায় লেখা সাইনবোর্ড দেখে এগিয়ে না গেলেও পথেই কানে আসবে বাংলায় কথোপকথন।
নিইউয়র্কে অবস্থিত মান্নান গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, নিইউয়র্কে আমরা অনেক প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছি। এখন আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশী বলা যাবে। কোনো কিছুর জন্য আমাদের অন্য কারো কাছে যেতে হয় না।
এসব এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রাধান্য বিস্তার করে আছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরাই। কঠোর পরিশ্রম আর চেষ্টায় বাংলাদেশীদের অনেকেই গড়ে তুলেছেন একাধিক প্রতিষ্ঠান।
প্রবাসী ব্যবসায়ী বাংলাদেশীদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, একটা সময় ছিল ভারতীয় আর পাকিস্তানীদের জন্য আমরা ব্যবসায় দাঁড়াতে পারতাম না। এখন আমরা তাদের থেকেও অনেক এগিয়ে গেছি।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক শহরে আরেক প্রবাসী বাংলাদেশীর প্রতিষ্ঠান আছে বসটন মেডিকেল কলেজের সামনে। তিনদশক আগে মাত্র ৩০ জনের মতো বাংলাদেশী ছিল এই শহরে। এখন রয়েছে কয়েক হাজার।
হাভার্ড আর এমআইটির মাঝামাঝিও গড়ে ওঠা বাংলাদেশীর প্রতিষ্ঠান উৎসাহ যোগাচ্ছে নতুনদের ।
ব্যবসায়ীরা বলেন, এটি একমাত্র দেশ যেখানে লক্ষ্য নিয়ে আগালে সবাই কিছু করতে পারবে।
এদের মতো প্রবাসীদের পথ ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যের বিভিন্ন শহরে ব্যবসা-বাণিজ্যে জায়গা করে নিয়েছেন অসংখ্য বাংলাদেশী।