মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনা থামছেই না। এইরকম সহিংসতার শিকার হয়ে আজ বৃহস্পতিবার নিহত হয়েছে অন্তত ৫ জন মার্কিনী।
যুক্তরাষ্ট্রের পেনিসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের পিটসবুর্গে দুই বন্দুকধারী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে তাদের হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে ৪জনই নারী।
তবে হামলাকারীরা এখনো আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,বুধবার গভীর রাতে একটি আবাসিক এলাকায় বার্বিকিউ পার্টিতে প্রথমে এক বন্দুকধারী গুলি শুরু করে। আতঙ্কিত লোকজন বাড়িতে ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা চালানোর সময় দ্বিতীয় বন্দুকধারী উল্টো পাশ থেকে গুলি শুরু করলে ৪জন ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং হাসপাতালে মারা যায় আরও একজন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গণহারে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনা নিয়মিত ঘটছে। সাম্প্রতিক সময়ে এইরকম হত্যাকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় দুর্বল আগ্নেয়াস্ত্র আইন কঠোর করার উদ্যোগ নেয় ওবামা সরকার। তবে সাধারণ মার্কিনীদের বন্দুক রাখার দীর্ঘদিনের সংস্কৃতির কারণে এই চেষ্টা এখনো আলোর মুখ দেখেনি।
এজন্য হত্যাকাণ্ডও থামানো যাচ্ছে না। গতমাসেই কানসাসের এক কারখানা শ্রমিকের গুলিতে প্রাণ হারায় ১৭ জন। এর আগে এক ট্যাক্সি ড্রাইভারের গুলিতে মিশিগানে নিহত হয় ৬ জন। গত ডিসেম্বরে ক্যালিফোর্নিয়ায় বন্দুকধারী দম্পতির গুলিতে প্রাণ হারায় ১৪ জন।
পরিসংখ্যান বলছে আগ্নেয়াস্ত্রের সহজলভ্যতা ও দুর্বল আইনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বছরে প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে মরতে হচ্ছে। গতবছরই দেশটিতে প্রায় ৩’শ ৩০ টি এলোপাতাড়ি গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।