এক, আবার এক না; দু’জনে যেনো একে অপরের প্রতিবিম্ব। জমজরা এমনই হয়। সবকিছুর উর্ধ্বে তাদের থাকে নিজেদের একটা জগৎ। সব আনন্দ, সব খুশি দু’জনের মাঝে মিলেমিশে যেনো দ্বিগুণ হয়ে যায়! তাদেরকে একে অপরের থেকে আলাদা করে চিনতে পারে না অন্যরা। এমন জমজ ভাইবোনদের নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রে হয়ে গেলো টুইনস ফেস্টিভাল বা ‘জমজ উৎসব’।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়ো অঙ্গরাজ্যে টুইনসবার্গ এলাকায় অনুষ্ঠিত হলো দু’দিনের টুইনস ফেস্টিভাল। জায়গার নামও টুইনসবার্গ, জমজ মানেও দু’জন, আবার উৎসবও দু’দিনের। সব মিলিয়ে উৎসবের আনন্দও যেনো দ্বিগুণ হয়ে গেলো!
তবে শুধু দু’জন জমজ ভাইবোন নয়, ত্রয়ী (তিন জমজ) এবং চতুষ্টয় (চার জমজ) ভাইবোনরাও অংশ নিয়েছে ৪০ তম জমজ উৎসবে। সব মিলিয়ে ২ হাজারের বেশি জমজ পরিবার যোগ দেয় এতে। একই রকম পোশাক পরে উৎসবে হাজির হন জমজ সহোদরেরা।
এবারের উৎসবের থিম ছিলো “জমজ দিবস: দ্বিগুণ স্মৃতি!”। তাই নতুন নতুন আনন্দময় স্মৃতি তৈরি করতে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে টুইনসবার্গে ছুটে আসেন জমজরা। অংশ নেন নানা ধরনের প্রতিযোগিতা, প্যারেড, কস্টিউম পার্টিসহ হরেক আয়োজনে। পাশাপাশি মজার সব পোজে ছবি তুলে রাখেন স্মৃতি হিসেবে।
ওহাইয়োর সোলন থেকে এসেছেন ২৮ বছরের ক্যারোলিন ও ক্যাথরিন ফারটিগ। ১৫ সপ্তাহ বয়স থেকে জমজ উৎসবে অংশ নিয়ে আসছেন তারা। এই উৎসব তাদের কাছে এতোটাই আপন যে, এখানে এলে প্রতিবারই তাদের মনে হয় যেনো ঘরে ফিরে এসেছেন।
এমনই হাজার হাজার জমজ আত্মার টানে প্রতি বছর ছুটে আসেন টুইনস ফেস্টিভালে। যেমন নাথান এবং স্কট হ্যাসব্রুক স্টার ওয়ারস-এর চরিত্রের কস্টিউম পরে পোজ দিলেন ছবির জন্য।
ম্যান্ডি ভারকেজ ও লিজ ব্লোয়ার লন্ডন থেকে টুইনসবার্গে আসলেন শুধু এই উৎসবে যোগ দিতে। গতবার এই জোড়া জিতেছিলেন “মোস্ট অ্যালাইক” বা একইরকম দেখতে হওয়ার প্রতিযোগিতা।
পেরেরা ও জেনেভা বারনুডি, ৩৬ বছর বয়সী দুই জমজ বোন আটলান্টা থেকে আসেন এই উৎসবে। দু’জন দেখতে প্রায় পুরোপুরিই একরকম।
জমজ ত্রয়ী বোন লাত্রিনা, লাতাশা ও লাতোইয়া থম্পসন ডেট্রয়েট থেকে এসেছেন ফেস্টিভালে। এটাই তাদের প্রথম টুইনস ফেস্টিভাল।
সুদূর ভেনেজুয়েলা থেকে যোগ দিলেন মিমিনা এবং মারিতা মিজা ভারজারা। তাদের পরিবারে জমজ ভাইবোনের সংখ্যা একটু বেশি!
মাঝখানে হেলি এবং কেটিকে নিয়ে ছবি তুললেন তাদের বন্ধু অন্য দুই জমজ স্কাইলার নিক ও স্পেনসার নিক।
ফেস্টিভ্যালে প্যারেডে অংশ নেন জমজরা।
সবচেয়ে সুন্দর ছবিগুলোর একটি: উৎসবে হাই অ্যাঙ্গেল থেকে ছবি নেয়া হয় অংশগ্রহণকারী জমজদের। তখন রোদে ভ্রু কুঁচকে এভাবেই হাসিমুখে পোজ দেন সবাই।
১৯৭৬ সাল থেকে শুরু হওয়া টুইনস ফেস্টিভাল ভবিষ্যতে আরও বড় হয়ে উঠবে বলে আশা করেন আয়োজকরা।