সাড়ে ছয় মাস পর যুক্তরাষ্ট্রে করোনার নতুন ঢেউয়ের আশঙ্কাই সত্য হলো। দেশটিতে আবার দ্রুততার সাথে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা। শুধু শেষ ২৪ ঘণ্টাতেই শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৭৩৭ জন। পাশাপাশি এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৮৭ জনের।
এর আগের দিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা শনাক্ত হয় ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫৯ জন। মৃত্যু হয় ১ হাজার ১৯৪ জনের। তার আগেরদিন দেশটিতে শনাক্ত হয়েছিল ১ লাখ ১৭ হাজার ৮৯৫ জন এবং মৃত্যু হয় ৪৫৪ জনের।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুলাই মাসের শেষ অর্থাৎ ৩০ জুলাই দেশটিতে সংক্রমণের সংখ্যা আবারও লাখ ছাড়িয়েছিল, এরপর আক্রান্তের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যাও।
গত ছয়দিনের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত ২০ আগস্ট দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার ৬৪৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১২০ জন। সেখানে একদিন পর আক্রান্ত এবং মৃত্যু দুই কিছুটা কমে হাজারের নিচে নেমে আসে। সেদিন আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার এবং মৃত্যু ৮২৯ জন।
তার মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে আবারও দৈনিক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এবং মৃত্যু বেড়ে হাজার ছাড়িয়েছে।
সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৯১ লাখ ৫৭ হাজার ২৪৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৬৮০ জনের।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন দেশটির শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউসি। বিশেষ করে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন তিনি।
তবে কিছু গবেষক আরও বড় ধরনের সংক্রমণের পূর্বাভাস দিচ্ছেন। আগস্টের শেষ দিকে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। সেক্ষেত্রে দৈনিক ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে ৩ লক্ষাধিক মানুষ এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। যা এরই মধ্যে ১ লাখ ৭১ হাজার ছাড়িছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এখন বলছেন, যারা ইতোমধ্যেই টিকা নিয়েছে, তাদের মাধ্যমেও এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়তে পারে।