যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা ও লড়াই উভয়ের জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছে নর্থ কোরিয়া।
শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ এ প্রকাশিত কিম জং উনের বক্তব্যে সুস্পষ্টভাবে এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে।
কিম জং উন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপ এবং লড়াই উভয়ের জন্য তার দেশকে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। বিশেষ করে লড়াইয়ের জন্য।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের প্রতি এটি তার প্রথম সরাসরি বক্তব্য।
কেসিএন এ জানায়, বৃহস্পতিবার নর্থ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পূর্ণাঙ্গ বৈঠকে কিম জং উন বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার নীতির বিশদ বিশ্লেষণ করেছেন এবং ওয়াশিংটনের মোকাবিলায় “যথাযথ ও কৌশলগত জবাবের’ প্রস্তুতি নিচ্ছে।
কিম তার দেশের ভাবমূর্তি ও স্বাধীন উন্নয়ননীতি অক্ষুণ্ন রেখে একই সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা এবং লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেওযার ওপর জোর দিয়েছেন।
কিম বলেছেন, ‘এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে যা আমাদের রাষ্ট্রের নিরাপদ পরিবেশ ও শান্তিপূর্ণ অবস্থানের নিশ্চয়তা দেবে’।
কোরিয়ার উপদ্বীপের জন্য নিযুক্ত মার্কিন প্রতিনিধি সাঙ কিমের সাউথ কোরিয়া সফরের দুদিন আগে কিম জং উন এমন বক্তব্য দিলেন। গত মাসে নিযুক্ত হন সাঙ কিম। নিয়োগের পরে প্রথম বিদেশ সফরে তিনি সাউথ কোরিয়া আসছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, সাঙ কিম সাউথ কোরিয়া এবং জাপানি সহযোগিদের সাথে আলোচনা করবেন এবং ২৩ জুন পর্যন্ত তিনি সিউলের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাত করবেন।
বিশ্লেষকরা কিমের মন্তব্যকে ‘ওয়েট এন্ড সি’ নীতি হিসেবে দেখছেন। তারা মনে করছেন, নর্থ কোরিয়ায় খাদ্য সংকট চলছে। এটি তিনি স্বীকারও করেছেন। এমন সময় কিম জং উন হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ অবস্থানকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।