বাংলাদেশের বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে তিনি ৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ এবং সর্বশেষ, শর্ত পূরনের পরও জিএসপি স্থগিত রাখার কথা মনে করিয়ে দেন।
বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ত্রিশ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সাথে তারা অনেক খেলা খেলতে চেয়েছে। সেই ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা সপ্তম নৌ বহর পাঠিয়েছিলো। সপ্তম নৌবহর পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর পক্ষে আসলেও তারপরও আমরা মুক্তিযুদ্ধে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, বাংলাদেশের মানুষ বিজয় অর্জন করেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় কিন্ত ঠেকাতে পারে নাই। তাই এখন জামায়াত-বিএনপি ও ব্যাংকের সাবেক এমডি মিলে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করাসহ বহু অপকর্ম তারা করেছে। কিন্ত আমাদের অগ্রযাত্রা বন্ধ করতে পারে নাই।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বব্যাংকের কাছে টাকা ধার নেবো, আমরা পদ্মা সেতু বানাবো। সেটাও কিন্তু বন্ধ করেছিলো, কিন্তু পদ্মা সেতু নির্মাণ বন্ধ রাখতে পারে নাই। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে করতে পেরেছি।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিশেষ রপ্তানি সুবিধা জিএসপি ফিরে না পাওয়ায় রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি তবে ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রশ্নোত্তরে সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণকে সার্বজনীন করার বিষয়ে পরিকল্পনা জানতে চান।
সাংসদদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন করে নয়, দেশের মানুষ যদি বঙ্গবন্ধুকে মন থেকে ভালোবাসে তাহলে কেউই তাকে মুছে ফেলতে পারবে না।
বঙ্গবন্ধুর অবদান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় কন্ঠে বলেন, ‘আমরা ছোট একটা দেশ হতে পারি, এই দেশ আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি জাতির পিতার নেতৃত্বে। বাংলাদেশের মানুষ কারো কাছে মাথা নোয়াবে না।’