চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

যুক্তরাজ্যের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি চায় ডিসিসিআই

দেশের বাণিজ্যকে আরও প্রসারিত করতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি-এফটিএ সইয়ের প্রস্তাব করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। একই সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়নে একটি সমন্বিত নীতিমালা তৈরির কথাও বলেছে সংগঠনটি।

সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এই প্রস্তাব করেন ডিসিসিআইর নেতারা।

এ সময় ডিসিসিআই‌র নবনির্বাচিত সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ব্রেক্সিট পরবর্তী (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছেদ) সময়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ের উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি (নিম্ন আয়ের দেশ) থেকে উত্তরণ হলে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। সেজন্য এখন থেকেই প্রয়োজনীয় কৌশলপত্র প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে হবে। এছাড়া রপ্তানি বাড়াতে পণ্যের বহুমুখীকরণের পদক্ষেপ জরুরি।

রিজওয়ান রাহমান বলেন, কোম্পানি আইনের আওতায় একক ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের ক্ষেত্রে মূলধনের পরিমাণ ২৫ লাখ টাকা ও বিক্রয় সীমা এক কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে এ সীমা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান তিনি।

ডিসিসিআই’র নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। এ অবস্থায় বিশ্ব বাজারে নিজেদের রপ্তানি পণ্যের স্থান ধরে রাখা ও নতুন বাজার সম্প্রসারণের জন্য পণ্যের বহুমুখীকরণ আবশ্যক। এ ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধির কোনও বিকল্প নেই।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) খাতকে অর্থনীতির চালিকাশক্তি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে জিডিপিতে এ খাতের অবদান প্রায় ২৬ শতাংশ। এই খাতের বিকাশে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

বৈঠকে ডিসিসিআই’র ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এন কে এ মবিন সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন, মহাসচিব আফসারুল আরিফিন, সচিব জয়নাল আবদীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।