ফসলের বালাই দমনে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিউট উদ্ভাবিত ট্রাইকো কম্পোস্ট সার এবং বালাইনাশক ট্রাইকো লিচেট সাড়া ফেলেছে যশোরে। জমির উর্বরতা শক্তি ও উদ্ভিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পোস্ট সার ও জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করে সুফল পেয়েছেন কৃষকরা।
২০১৩ সালে পরীক্ষামূলকভাবে যশোর ও বগুড়ায় কৃষক পর্যায়ে ট্রাইকো কম্পোস্ট সার ও ট্রাইকো লিচেট বালাইনাশক এর উৎপাদন ও ব্যবহার শুরু হয়। পরের বছর কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে উৎপাদনের অনুমোদন মেলে। বর্তমানে যশোরের চুড়ামনকাঠিতে সবজি ফসলে মাটি বাহিত ও পাতার রোগ দমনে এ সার ব্যবহার করা হচ্ছে।
কৃষকরা নিজেরাই গোবর, মুরগির বিষ্টা, সবজির উচ্ছিষ্ট অংশ, কচুরিপনা, নিমপাতা, কাঠের গুড়া, চিটা গুড় মিশিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে এই সার তৈরি করছেন।
একজন কৃষক বলেন, লাউতে ব্যবহার করেছি, চিচিঙ্গাতে ব্যবহার করেছি। এখন পটলে ব্যবহার করছি এবং পরবর্তী সময়ে যে বেগুনটা করবো সেটা ওই মাটিতে দিয়েই রোপন করেছি। আরেকজন কৃষক বলেন, এমনি সারের চেয়ে কম্পোস্ট সার অনেকগুণ ভালো। এটা ব্যবহার করে আমরা অনেক লাভবান হয়েছি।
সারের মতো জৈব বালাইনাশক ট্রাইকো লিচেটও নিজেরাই তৈরি করছেন কৃষক। তারা আরও বলেন, এই সার ব্যবহারে গাছের রোগ-বালাই কম হয় এবং গাছের ডাল শুকনো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আগামীতে এই সার ও বালাইনাশকের ব্যবহার দেশের অন্য জেলাতেও ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন ও কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।ফাউন্ডেশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এম এস নাহার বলেন, এক দিকে যেমন রোগ দমন করে, অন্যদিকে তেমন নিউট্রেনগুলো দেয়ায় ফসলের গুণগত মান ও ফলন এবং রোগব্যাধিহীন ফসল আমরা পেয়ে থাকি।
রোগমুক্ত পুষ্টিকর ফসল উৎপাদনে জৈব সার ও বালাইনাশক দেশের কৃষি উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন কৃষিবিদরা।