যশোরের কেশবপুরে নদী খননের নামে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দখলের প্রতিবাদে মাঠে নেমেছেন গ্রামবাসী। কৃষি জমিতে নদী খননের এই প্রকল্পকে গলার ফাঁস হিসেবে দেখছেন কৃষকরা। আন্দোলন বাঁধাগ্রস্থ করতে পুলিশ দিয়ে হয়রানি, হুমকি, ধামকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।
যশোরের কেশবপুরে বুড়িভদ্রা নদী খননে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নেয়া প্রকল্পে ব্যক্তি মালিকানার জমি হারানোর অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। এরই মধ্যে কিছু অংশের খনন শেষ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদাররা। সে সময় তারা ক্ষেতের ধানসহ বিভিন্ন ফসল ধ্বংস, গাছ কেটে নেয়া ও ঘেরের মাছ ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ কৃষকের।
স্থানীয় কৃষক ও জমির মালিকদের একজন বলেন, আমার জমিই ১০ কাঠা। পুরোটাই যদি খালের মধ্যে চলে যায় তাহলে আমি কি করবো। কি খেয়ে বাঁচবো।
আরেকজন বলেন, খাল কাটার কথা নিষেধ করতে গেলে তারা ভয় দেখিয়ে বলে মাটিচাপা দিয়ে দেব।
জমির মালিক ও প্রান্তিক চাষীরা বলছেন, ১৯২৭ সাল, ৬২ সাল ও ৮৮ সালের রেকর্ডে এই জমি তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কৃষক ও জমির মালিকরা বলেন, আমাদের জিম্মি করে তারা খাল কেটে নেবে এই রকম পরিকল্পনাই তারা নিয়েছে।
নদী খনন নিয়ে আন্দোলন ও মামলার বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পাউবো যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, জমির মালিকরা আদালতে একটি মামলা করেছেন, মহামান্য আদালত যা সিন্ধান্ত দেয় সেইভাবেই পরে নদীর খনন কাজ চলবে।
নদী খনন নিয়ে যাতে কোনো ধরণের সহিংসতা না হয় তা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, আমার নোটিশে আসলে জনস্বার্থবিরোধী কোনো কাজ হবে না।
কৃষকরা বলছেন, নিজেদের ফসলি জমি রক্ষায় নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে রয়েছেন তারা।