পোকা মাকড়ের উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে ও মানসম্মত গোলাপ উৎপাদনে গোলাপ কুড়িতে ক্যাপ প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন যশোরের গদখালির চাষীরা। ভারত ও চীন থেকে সংগ্রহ করে রোজক্যাপ নামক এই বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রপ্তানীযোগ্য গোলাপ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে।
দেশের ফুল উৎপাদনের ৬০ শতাংশই চাষ হয় যশোরে। এ বছর গদখালি এলাকায় ১’শ৭০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাস, গোলাপ, গাঁদা, লিলিয়াম ও জারবেরা ফুল। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী চাষ হয়েছে গোলাপ। ফুল চাষীরা জানান, বৈরী আবহাওয়ায় সাধারণত গোলাপ ফুল বেশি দিন গাছে ধরে রাখা যায় না। এলাকার ফুল চাষী আবদুর রহিম ভারত ও চীন থেকে নিয়ে আসেন রোজক্যাপ নামে বিশেষ এই প্রযুক্তি। চাষীরা রোজক্যাপ ব্যবহার করে মানসম্মত গোলাপ উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন।
যশোরের গদখালি এলাকার স্থানীয় গোলাপ চাষীরা বলেন, গোলাপে কুঁড়িতে ক্যাপ পড়ালে ২ থেকে ৩ টাকায় বিক্রি করতে পারেন তারা। এই ক্যাপ পড়ালে ফুলের আকার, গুণগতমান ঠিক থাকে। পোকা মাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করা যায় ফুলকে।
রোজক্যাপ হচ্ছে বিশেষ গুনসম্পন্ন প্লাস্টিকের একটি ক্যাপ। গোলাপের কুঁড়ি বের হলে চাষী কুঁড়িতে ক্যাপ পরিয়ে দেন। এতে সব ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে কুঁড়িটি রক্ষা পায়। ক্যাপের ভেতরেই কুড়িটি পূর্নাঙ্গ গোলাপ হিসেবে প্রষ্ফুটিত হতে থাকে।
যশোরের বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটির ফুল চাষী ও সভাপতি আবদুর রহিম বলেন, গোলাপে ক্যাপ ব্যবহারের আগে কৃষকরা যে গোলাপ ব্যবহার করতেন তা বেশিদিন তাজা থাকতনা। কৃষকরা এখন মানসম্মত গোলাপ চাষ করতে পারছেন।
আমদানি করা রোজক্যাপের সংখ্যা কম থাকায় গোলাপ চাষের ভরা মৌসুমে কিছুটা সংকটে পড়েছেন ফুল চাষীরা।