যশোরের শার্শা উপজেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বেদানার চাষ শুরু হয়েছে। দুটি প্লটে দেড় বিঘা জমিতে দুজন কৃষক বেদানার চাষ করেছেন। উচ্চমূল্যের এ ফলটির ন্যায্য দাম পেলে আগামীতে বেদানার চাষ আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
শার্শা উপজেলায় কুলপালা ও গাতিপাড়া গ্রামের দেড় বিঘা জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বেদানার চাষ হয়েছে। বেলে-দো-আঁশ মাটি বেদানা চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বেদানা চাষের জন্য শার্শার আবহাওয়াও অনুকূল হওয়ায় গাছগুলিতে ফুল ও ফল এসেছে দ্রুত।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বললে জানা যায়, বেদানা চাষের জন্য বিঘা প্রতি খরচ ২ লাখ টাকা। তবে এবার যে পরিমান ফল এসেছে তাতে করে বছর শেষে ৮ লাখ টাকার ফল বিক্রি হবে বলে আশা তাদের।
চাষের শুরুতে অনেকেই ঠাট্টা করলেও এখন গাছে ফল আসার পর আনন্দে ভাসছেন তারা।
অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতি কেজি বেদানার মূল্য দুশ’ থেকে আড়াইশ’ টাকা। এ বছর উৎপাদিত বেদানা ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বছর চার-পাঁচ লাখ টাকায় বেদানা বিক্রির আশা করছেন কৃষক।
স্থানীয় কৃষক জানান,কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণের ফলে এই ফলের চাষে আমরা উদ্বুদ্ধ হয়েছি। আগামী বছর আমরা আরও বেশি করে জমি বেদানা চাষের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে।
বেদানায় প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। আগামী বছর বেদানা চাষের সাথে সাথে কৃষকের সংখ্যাও বাড়বে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
যশোর,শার্শা-উপজেলা কৃষি অফিসার হীরক কুমার সরকার জানান, এবারের বেদানা চাষে সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে আগামী বছর কৃষকরা আরও বেশি জমিতে বেদানা চাষের পাশাপাশি নতুন কৃষকরা এই ফল চাষের দিকে ঝুকবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সেজন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।