চৈত্র থেকে আষাঢ় মাস রেণু-পোনা উৎপাদনের ভরা মৌসুম। সবচেয়ে বেশী রেণু উৎপাদিত হয় এ সময়ে। এ বছর মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি কিছুটা কম হলেও এখন রেণু উৎপাদন ও সরবরাহ চলছে পুরোদমে।
চাষীরা তাদের মাছ চাষের জন্য রেণু সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। যশোরের চাঁচড়ার এক মাছ চাষী বলছেন, বার্ষার পানি শুরু হয়েছে আমরা এখান থেকে রেণু নিচ্ছি। আর একজন মাছ চাষী বললেন, এখানকার মাছ নিয়ে আগেও লাভবান হয়েছি তাই এবারও নিতে এসেছি।
দেরীতে হলেও আষাঢ়ের শেষ পর্যায়ে এসে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় পুকুর, জলাশয়, নদীনালায় এখন পানি ভরপুর। যশোরের চাঁচড়ার মাছ চাষী বলছেন, বিল খালে পানিতে ভরে গেছে আল্লাহ দিলে এবার আবহাওয়া ভাল আছে মাছের উৎপাদন ভাল হবে।
এ বছর যশোরের চাঁচড়া থেকে কয়েক কোটি টাকার রেণু পোনা বিক্রির আশা করছেন হ্যাচারি মালিকরা। যশোরের চাঁচড়ার মাতৃফিশ হ্যাচারীর স্বত্ত্বাধিকারী জাহিদুর রহমান গোলদার বলেন, আমার এ প্রজেক্টে ব্যয় আছে প্রায় ৫০ লাখের ওপর এখন আমার চেষ্টা এই সিজনের মধ্যে আমার এক দেড় কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা করার। আমি সাদা মাছ এবং ক্যাড ফিস জাতীয় যত মাছ আছে সব মাছের ব্যবসার সাথে আমি জড়িত।
গত বছর চাঁচড়া মৎস্য পল্লীর ৮২টি হ্যাচারিতে দু’লাখ ৬০ হাজার কেজি রেণু উৎপাদিত হয়।
মাছ উৎপাদনের ভরা মৌসুমে রেণু ও পোনা সরবরাহের ব্যাপক তোড়জোর চলছে যশোরের মৎস্যপল্লী খ্যাত ‘চাঁচড়া’ এলাকায়।
নতুন নতুন প্রজাতির মাছের রেণু উৎপাদন ও সরবরাহের উদ্দেশ্যে রাত-দিন পরিশ্রম করে চলেছেন এখানকার শ্রমিক কর্মচারি ও হ্যাচারি মালিকরা।