রংপুর বিভাগের কোনো কোনো জেলায় যমুনার চরাঞ্চলে ঘাঁটি করার চেষ্টা করছে জঙ্গিরা। এদের ঠেকাতে সন্দেভাজন জঙ্গিদের তালিকা করে তাদের কড়া নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ এবং গোয়েন্দারা। রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি জানিয়েছেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে দুর্গম চরাঞ্চলে দ্রুততম সময়ে জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।
৫ বছর আগে দিনের বেলা প্রকাশ্যে ব্যস্ততম রেলস্টেশন বামনডাঙ্গায় মৌলবাদী ও জঙ্গিদের হামলায় ৪ পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর গোয়েন্দারা যমুনার চরাঞ্চলে জঙ্গি ঘাঁটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ও তাদের অপতৎপরতার কথা জানতে পারেন। জঙ্গি তৎপরতা থেকে সরে আসতে চাইলে তাদের হত্যা করা হয়েছে।
এদের সবশেষ শিকার মাহবুব হাসান এবং ফজলে রাব্বী। পর পর বিদেশি নাগরিক হত্যার পরিকল্পনাও হয় এখানেই। এখানেই ঘাঁটি গাড়ে হলি আর্টিজান হামলার পরিকল্পনাকারী জঙ্গি নেতা রাজিব গান্ধি, তামিম, তানভীর কাদেরীসহ অনেকেই। কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে আসা জঙ্গিরা ছাড়াও সন্দেহভাজন সবাইকে নজরদারিতে আনার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ বলছে, খুবই সতর্কতার সঙ্গে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে জঙ্গিরা। পুলিশের অভিযান শুরুর অনেক আগেই নিরাপদে সরে পড়ছে তারা।
যেকোনো মূল্যে জঙ্গিদের মাথাচাড়া দেয়ার তৎপরতা ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে থাকার কথা জানিয়েছে পুলিশ। এজন্য জনগণকে সম্পৃক্ত করার কথাও জানিয়েছেন তারা।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: