অনেক সময় মনে করা হয় যমজ সন্তান আরও বেশি আনন্দ বয়ে আনে। এটা যেমন অনেকের ক্ষেত্রে ঠিক তেমনি এর কিছু বাড়তি চাপও থাকে। কারণ, শুধু সন্তানের আগমন হলে চলবে না, তাদের সঠিক পরিচর্যা অর্থাৎ যত্নআত্তির বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে সবার আগে। তাই জেনে নিন এদের যত্নআত্তির কিছু টিপস-
১. যুগল সন্তান মানেই সবকিছু ডাবল। দুজনকে সমানভাবে যত্ন করুন। তাদের খাদ্যাভ্যাস, পুষ্টির বিষয়ে নজর রাখুন। মায়ের বুকের দুধ সন্তানের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী। তাই দুজনের এই চাহিদাকে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পূরণ করুন।
২. আর্থিক পরিকল্পনা সেরে ফেলুন আগে আগে। কারণ, আপনার একটি সন্তান বড় করার প্রস্তুতি থাকলেও এখন দুটি সন্তানের মধ্যে তা ভাগ করে নিতে হবে। জিনিসপত্রও কিনতে হবে ডাবল। নিজেদের সাধ্যের মধ্যে সন্তাদের ছোট ছোট শথগুলো পরিকল্পনা মতো পূরণ করুন।
৩. যমজ বাচ্চাদের অসুখ-বিসুখের ধরণ সাধারণত অন্য বাচ্চাদের থেকে আলাদা হয়। দেখা যায়, একজন অসুস্থ হলে অন্যজনও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এতে মা-বাবাকে চাপটা নিতে হয় ডাবল। তাই তাদেরকে রোগমুক্ত রাখতে চেষ্টা করুন।
৪. যমজ বাচ্চাদের শারীরিক জটিলতার সাথে মানসিক বিষয়টাও একসাথে চলতে থাকে। তাই যা-ই করুন সব দুজনের বিষয়কে মাথায় রেখে করুন।
৫. যমজ বাচ্চারা সাধারণত একটু বেশি আবেগপ্রবণ হয়। কারণ একজনের আবেগের প্রভাবটা বাড়তি হিসেবে অন্যজনের উপর পড়ে। তাই তাদের সময় দিন এবং তাদের কথাগুলো শুনুন।
৬. যমজ বাচ্চাদের প্রতি সবার একটু বাড়তি আকর্ষণ থাকে। তাই পোশাক এবং সাজের ক্ষেত্রে দুজনকে একইভাবে সাজান। এতে দেখতেও সুন্দর লাগবে এবং কোন মনোমালিন্যর সম্ভাবনা থাকবে না।
৭. শুধু ছোটবেলাতে নয়, বড় হবার পরেও তাদের সববিষয়কে একই সাথে সেরে ফেলার চেষ্টা করুন। যেমন: বিয়ে। একসাথে না হলেও একজনের বিয়ের পরপর অন্যজনের বিয়ের আয়োজন করা উত্তম। কারন, তারা শুধু ভাইবোনই নয় ভালো সঙ্গীও হয়ে ওঠে। একজনের সেটেলমেন্ট অন্যজনকে যেন একাকিত্বে না ভোগায় তার দিকে খেয়াল রাখুন।
৮. দুজনের যেকোন বিষয় নিয়ে সমানভাবে প্রশংসা করুন। এটা যেকোন সন্তানদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তারপরেও যমজরা এটা বেশি প্রত্যাশা করে।
৯. খেলাধুলা, নাচ-গান অর্থাৎ এক্সটা কারিকুলার কাজে তাদের সমানভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ দিন।
অর্থাৎ সব ক্ষেত্রে তাদের বিচ্ছিন্ন না করে একসাথে চলার সুযোগ করে দিন। এতে তারাও সাচ্ছন্দ্যে বোধ করবে এবং বাবা-মার উপরেও চাপ কম পড়বে। ফেমিনা।