পুরো সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বেশ কয়েকদিন ধরে সবার মুখে মুখে একটা নামই শোনা যাচ্ছে তা হলো রাণু মণ্ডল। ভারতের রানারঘাট স্টেশনে লতা মঙ্গেশকরের ‘এক প্যায়ার কা নাগমা হ্যায়’ গেয়ে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে সবার নজর কারেন তিনি।
সম্প্রতি বলিউডের গান গেয়ে একবারে সেলেব বনে গেছেন রাণু মণ্ডল। তবে রাণু মণ্ডল যে গান গাইতে পারেন, সে বিষয়ে নাকি কোনও ধারণাই ছিল না তার মেয়ে এলিজাবেথ সাথী রায়ের।
এলিজাবেথ জানিয়েছেন, তার মা যে স্টেশনে গান গাইতেন, সে বিষয়ে ধারণাই ছিল না তার এবং নিয়মিত মাকে দেখতে না এলেও মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৃদ্ধা বয়সে মাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার অভিযোগে এলিজাবেথ সাথী রায় ইন্টারনেটে সমালোচনার মুখে পড়েন।
ভারতীয় গণমাধ্যম আইএএনএসকে রাণু মণ্ডলের মেয়ে জানান, যতটা সম্ভব মায়ের যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করেছি এবং আমিও অনেক সংগ্রাম করেই দিন চালাচ্ছি।
রাণু মণ্ডলের প্রথম পক্ষের এক ছেলে এক মেয়ের মধ্যে এলিজাবেথ সাথী একজন। সে এখন সিঙ্গেল মাদার এবং একটা ছোট্ট মুদি দোকান চালান। মেয়ে বলেন, আমি মাকে বেশ কয়েকবার আমার সাথে থাকতে বলেছিলাম, কিন্তু মা প্রতিবারই প্রত্যাখ্যান করেছে।
রাণু মন্ডলের দ্বিতীয় স্বামীর পক্ষে দুটি সন্তান রয়েছে। এলিজাবেথ বলেন, “কয়েক বছর আগে আমার বাবা মারা গেছেন। মা’র দ্বিতীয় স্বামীর ছেলেমেয়েরা সম্ভবত মুম্বাইতে রয়েছেন, যদিও আমি নিশ্চিত নই। মায়ের দ্বিতীয় স্বামী এখনও বেঁচে আছেন। আমি মায়ের প্রথম স্বামীর মেয়ে এবং আমার এক বড় ভাই আছে। তাছাড়া এক সৎ ভাই ও সৎ বোন রয়েছে। আমরা একে অপরের যোগাযোগে নেই। অন্য সন্তানরা মা’র দায়িত্ব কেন নেয় না? কেন কেউ তাদের দোষ দিচ্ছে না? আমি চাই তারা এগিয়ে আসুক এবং সাথে মা’র যত্ন নিক আমার মতোই।”
এলিজাবেথ আরও বলেন, কয়েকমাস আগে আমি ধর্মতলায় গিয়েছিলাম এবং মাকে একটি বাসস্ট্যান্ডে বসে থাকতে দেখি। আমি মাকে বলি, এক্ষুণি বাড়ি যাও এবং ২০০ টাকাও দেই। তাছাড়া বিভিন্ন সময় মামার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে যথাসম্ভব ৫০০ টাকা করে পাঠাতাম মাকে। আমি তবুও যতটুকু পারি মাকে দেখাশোনা করার চেষ্টা করেছি। তবুও লোকেরা আমায় দোষ দিচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রাণু মণ্ডলের গান ভাইরাল হওয়ার পর রিয়েলিটি শো সুপারস্টার সিঙ্গারে গাওয়ার জন্য গায়ক সুরকার হিমেশ রেশমিয়া আমন্ত্রণ জানান তাকে।
এরই মধ্যে গান গেয়ে সবার মন কেড়ে নিলে হিমেশের আগামী সিনেমা ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হির’এর জন্য আদত এবং তেরি মেরি কাহানি গান রেকর্ড করা হয়েছে রাণু মণ্ডলের গলায়।