চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

যতটা দ্রুত সম্ভব আমরা বিচার করেছি: আইনমন্ত্রী

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার বিচারের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার যতটুকু দ্রুত সময়ে সম্ভব আমরা করেছি।

বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি আরো বলেন: এ রায় অতি দ্রুত সম্পন্ন হয়েছে এবং আইনি সকল প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন করেই হয়েছে।

১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের ১৭ জন সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যার রায়ের বিষয়টি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন: ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের ১৭ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়। সেই হত্যাকাণ্ডের এফআইআর দেয়ার জন্য ২১ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। ৩৪ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে মামলাটা শেষ করতে। আর আজকে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার যতটুকু দ্রুত সম্ভব আমরা করেছি।

প্রায় তিন বছর আগে বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দেয়া গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারির নারকীয় হত্যার ঘটনায় ৭ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।

পুরান ঢাকার আদালত পাড়ার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান বুধবার বহুল আলোচিত ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা করেন।

এই মামলার আরেক আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত ৯টার দিকে রাজধানীর গুলশান-২-এর ৭৯ নম্বর সড়কের পাশে অবস্থিত হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালায়। তারা অস্ত্রের মুখে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। পরে রাতেই ওখানে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা রবিউল করিম ও সালাউদ্দিন খান নিহত হন। এছাড়াও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ৩১ সদস্য ও র‌্যাব-১ এর তৎকালীন পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদসহ ৪১ জন আহত হন।

পরদিন ২ জুলাই ভোরে সেনা কমান্ডোদের পরিচালিত ‘থান্ডারবোল্ট’ নামের অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হয়। এরপর পুলিশ সেখান থেকে ১৮ বিদেশিসহ ২০ জনের লাশ উদ্ধার করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও একজন রেস্তোরাঁকর্মী। আর কমান্ডো অভিযানের আগে ও পরে ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।