দ্রুত কোভিড-১৯ পরীক্ষার যন্ত্র ও জৈবসুরক্ষা উপকরণ দেখতে বাংলাদেশ যক্ষ্মা হাসপাতালে গেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার।
সোমবার শ্যামলীর ২৫০ শয্যার যক্ষ্মা (টিবি) হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দেয়া জিনএক্সপার্ট যন্ত্র কীভাবে মাত্র ৪৫ মিনিটে কোভিড-১৯ শনাক্ত করতে পারে সেটা প্রত্যক্ষ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
একই সাথে তিনি বহু-ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা বা মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিবি (MDR-TB) রোগ নির্ণয় প্রক্রিয়া উন্নতকরণে যন্ত্রোপকরণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করেন।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশে যক্ষ্মার প্রাদুর্ভাব কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি)’র মাধ্যমে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে গত দশ বছরে ১০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস মার্চ ২০২০ থেকে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবেলার প্রস্তুতি ও কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত প্রচেষ্টার পরিপূরক হিসাবে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তাও সম্প্রসারণ করেছে।
আরও বলা হয়, এর আগেও যক্ষ্মা পরীক্ষার জন্য ইউএসএআইডি বাংলাদেশ সরকারকে ৭৪টি জিনএক্সপার্ট যন্ত্র প্রদান করেছে, যেগুলো এখন কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্যও ব্যবহৃত হচ্ছে। ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক কোম্পানি সেফাইড কর্তৃক প্রস্তুতকৃত জিনএক্সপার্ট পদ্ধতিটি যক্ষ্মা ও কোভিড-১৯’সহ চাহিদা মাফিক বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা করতে সক্ষম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবেলার প্রস্তুতি ও কার্যক্রম গ্রহণে তহবিল সংস্থানে প্রথম পর্যায়ের দাতা সংস্থাগুলোর অন্যতম হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এর সবগুলো প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৫৬.৫ মিলিয়ন ডলারের বেশী অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ইউএসএআইডি থেকে উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসাবে প্রদত্ত প্রায় ৩৭ মিলিয়ন ডলার।
এই তহবিল বাংলাদেশের পরীক্ষাগার ও পরীক্ষাগারের কর্মীদের সক্ষমতা জোরদারকরণ, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সেবা উন্নতকরণ, সংক্রমণের বিস্তার হ্রাস ও নিয়ন্ত্রণ, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং রোগ সম্পর্কিত গুজব ও ভুলধারণা দূরীকরণে সহায়ক হচ্ছে।