সাভারের হাইওয়ে পুলিশের এএসপি মিজানুর রহমানের (৫০) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মিজানুর রহমানের ছোট ভাই মাসুম তালুকদার তার মরদেহ গ্রহণ করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ড. প্রদীপ কুমার বিশ্বাস চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, নিহত মিজানের সারা শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চামড়ার নিচে রক্ত জমাট অবস্থায় ছিলো। এছাড়া তার গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশের ভিসেরা সংরক্ষণ করা হয়েছে, রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানানো হবে।
মিজানুর রহমানের ছোট ভাই মাসুম জানান, রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে তার ভাইয়ের প্রথম জানাজা হবে, আর দ্বিতীয় জানাজা হবে আশকোনায়। এরপর টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরে তার তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন হবে।
সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান নিহতের ঘটনায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের আসামি করে নিহতের ছোট ভাই মাসুম ইতোমধ্যে রূপনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
রূপনগর থানার ওসি সৈয়দ শহিদ আলম চ্যানেল আই অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মিজানুরের ছোট ভাই মাসুম জানান, পুলিশের উর্ধ্বতন পর্যায়ে থেকেও আমার ভাইয়ের এমন মৃত্যু হল। আসলে আমরা কেউ নিরাপদ নই।
পারিবাবিক সূত্রে জানা গেছে, মিজানুরের সঙ্গে কারো কোনো দ্বন্দ্ব কিংবা টাকা পয়সার লেনদেন বা কলহ ছিল না।স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে বুধবার রাতে স্ট্রোক করে তার স্ত্রী শাহনাজ।
মিজানুরের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে বৃষ্টি জানান, বুধবার ভোরে মায়ের দেয়া পোশাক পড়ে বের হন বাবা, দুপুরে শুনি আমাদের বাবা নেই! এখন আমার ছোট ভাইটাকে কে দেখবে?
বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের বিরুলিয়া ব্রিজ এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে হাইওয়ে পুলিশের এএসপি মিজানুর রহমানের লাশ উদ্ধার করে রূপনগর থানা পুলিশ।
পুলিশের গণমাধ্যম শাখা থেকে জানা গেছে, এএসপি মিজানুর রহমান বুধবার সেহরির সময় থেকে নিখোঁজ ছিলেন। সকাল ১০টার পর রূপনগর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বিরুলিয়া ব্রিজের কাছে রাস্তার পাশে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে স্থানীয়রা খবর দেয়।
পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং মুখে গার্মেন্টসের ঝুট ঢোকানো ছিল।
রূপনগর থানার ওসি শহীদুল আলম তখন চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আমরা।