রাজধানীর শিল্পকলা ভবনের গা ঘেঁষে থাকা মৎস্যভবনের বহুল পরিচিতি সংস্কৃতিকর্মীদের জন্য বিব্রতকর উল্লেখ করে তা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সংস্কৃতিকর্মী।
ভবনটিকে নাটকের মহড়ার কাজে ব্যবহার করা হলে নাট্যকর্মীদের সমস্যারও সমাধান হবে বলে মনে করেন তারা।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্মচারী ইউনিয়ন- এর ৩৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে পাঁচ দিনব্যাপী নাট্যোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে সোমবার সেই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দিতে গিয়ে কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ সাইদুর রহমান সংস্কৃতিমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, শিল্পকলা একাডেমির চেয়ে মৎস্যভবন নামেই এ অঞ্চলের পরিচিতি বেশি। যা শিল্প সংস্কৃতির সেবায় নিয়জিত এই প্রতিষ্ঠান ও সংস্কৃতিকর্মীদের জন্য বিব্রতকর। তাই মৎস্যভবনটি সরিয়ে নেয়ার বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
এ দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার বলেন, শিল্পকলা ভবনের গা ঘেঁষে থাকা মৎস্যভবনটি শিল্পকলার আওতায় এনে নাট্যকর্মীদের মহড়ায় ব্যবহার করা হলে নাট্যকর্মীদের বড় সমস্যার সমাধান হয়।
তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীকে বিষয়টি মন্ত্রিসভায় তুলে ধরতে অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি আখতারুজ্জামান বলেন, ‘মৎস্যভবন সরানোর এই দাবির সাথে নাট্যকর্মীরা একাত্ম। প্রয়োজনে আমরা আন্দোলন করব। শিল্পকলা ভবন চত্তর থেকে মৎস্যভবন সরাতে হবে।’
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর নাট্যকর্মীদের দাবির পূরণের আশ্বাস দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাট্যচর্চা ও নাট্যকর্মীদের বিশেষ গুরুত্ব দেন। তিনি তৃণমূল পর্যায়ে সংস্কৃতি চর্চায় সর্বাত্বক সহযোগীতা করছেন। মৎস্যভবন সরানোর এই দাবি তার কাছে নিয়ে যাব।
শিল্পকলার কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা, তাদের রাজস্ব খাতের আওতায় নেয়ারও আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে পাঁচ দিনের এ নাট্যোৎসবের প্রথম দিনে মেরাজ ফকিরের মা ও শিখণ্ডী কথা মঞ্চস্থ হয়।