ঘরোয়া ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে কলাবাগানকে দ্বিতীয় জয় এনে দিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ফতুল্লায় তার ৫১ বলে ১০৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ২১ রানে হারিয়েছে কলাবাগান ক্রীড়া চক্র।
ঢাকার ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরি এখন মাশরাফির দখলে। ফতুল্লায় শেখ জামালের বিপক্ষে ব্যাট হাতে রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন ম্যাশ। ইনিংসের ৩৫তম ওভারে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৫ বলে প্রথমে ফিফটি, পরের ৫০ করতে ম্যাশ খেলেছেন মাত্র ১৫ বল। পুরো ইনিংসে ১১টি ছক্কা আর দুটি বাউন্ডারি। ৫১ বলে ম্যাশের ১০৪ রানের টর্নেডোতে স্কোরবোর্ডে ৭ উইকেটে ৩১৬ রান তুলে কলাবাগান ক্রীড়া চক্র।
৩১৭র টার্গেট নিয়ে নেমে ২৯৫ পর্যন্ত গিয়েছিলো শেখ জামাল ধানমন্ডি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২১ রানের হার।
মিরপুরের ম্যাচে শাহরিয়ার নাফিসের সেঞ্চুরিতে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৩৮ রানে হারিয়েছে ক্রিকেট কোচিং স্কুলকে। ম্যাশের ইনিংসের মতো অতোটা মারকুটে না হলেও মিরপুরে সেঞ্চুরি করেন শাহরিয়ার নাফিস। ১৪৭ বলে ওপেনার নাফিসের ১৩৪ রানের ইনিংস, ৫০ ওভারে তার দল ব্রাদার্স ইউনিয়ন তুলে ৬ উইকেটে ২৫৩।
পরে ক্রিকেট কোচিং স্কুলকে ২১৫ রানে অলআউট করে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ম্যাচ জিতে নেয় ৩৮ রানে। ৬ ম্যাচে এটি তাদের তৃতীয় জয়।
সাভারের বিকেএসপিতে কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমিকে ৮ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থস্থানে উঠেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। ম্যাচটি ছিলো শেষের নাটকীয়তায় ভরা। কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমির দেওয়া ১৮৭ রানের টার্গেটে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের তখন ১৮৬ তখন ওপেনার শামসুর রহমান শুভর ব্যক্তিগত রান ছিল ৯৫।
সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করার জন্য ঠিকঠিকই ৬ হাঁকান শুভ। আম্পায়ারও ছয়ের সিগন্যাল দেখান।
কিন্তু বলটি নো হওয়ার কারণে স্কোরাররা জানান, নো বলেই ম্যাচ শেষ।
শুভর রান তাই ৯৫, ওই বলে ৬ মারলেও সেঞ্চুরি হয়নি তার।