২৫ নভেম্বর বিশ্বকে কাঁদিয়ে পৃথিবীকে বিদায় জানিয়েছেন ফুটবলের জাদুকর ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা। তার মৃত্যু আর্জেন্টাইনদের পাশাপাশি ধাক্কা দিয়ে গেছে আটলান্টিকের ওপারের দেশ ইতালির নাপোলির অধিবাসীদের। প্রায় অখ্যাত এক ক্লাব ফুটবল বিশ্বে খ্যাতির চূড়ায় উঠেছিলো যার হাত ধরে সেই কিংবদন্তির প্রতি ভালোবাসায় সারারাত জ্বলেছিলো নাপোলির স্টেডিয়াম সান পাওলোর বাতি।
তবে এক রাতের উজ্জ্বল আলোতে কমবে না শহরটির মানুষের বেদনা, প্রিয় ফুটবলারটিকে চিরজীবন নিজেদের স্মৃতির মণিকোঠায় স্থান দিয়ে রাখতে নিজেদের স্টেডিয়ামের নামই পাল্টে ফেলছে ক্লাবটি।
ম্যারাডোনার মৃত্যুর পরপরই সিদ্ধান্ত হয়েছিলো, সান পাওলোর স্টেডিয়াম বদলে যাবে তার নামে। তবে সেটা ছিলো মৌখিক সিদ্ধান্ত। অবশেষে কিংবদন্তির স্মৃতিকে চিরস্থায়ী করে রাখতে নাপোলির সিটি কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্টেডিয়ামটির নাম হয়ে যাবে ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা স্টেডিয়াম।
১৯৮৪ সালে বার্সেলোনা থেকে নাপোলিতে পাড়ি জমান ম্যারাডোনা। তার হাত ধরেই জুভেন্টাস, এসি মিলান আর ইন্টার মিলানের মত দলগুলোকে পেছনে ফেলে প্রথমবারের মত সিরি আ জিতে নেয় ক্লাবটি। আট বছরের ক্যারিয়ারে দুই লিগ শিরোপাসহ নাপোলিকে উয়েফা কাপও জেতান আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি।
‘১৭ বছর ধরে আমি বলে আসছি স্টেডিয়ামের নামটি ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা করা হোক। যদি ঐতিহ্য ধরে রাখার প্রশ্ন উঠে আসে তাহলে আমরা সান পাওলোর সঙ্গে ম্যারাডোনা নামটাও না হয় উচ্চারণ করবো। এতে খুব একটা ফারাক আসবে না, তবে ম্যারাডোনার প্রতি একটা স্বীকৃতি তো হবে’, স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন নিয়ে এভাবেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন নাপোলি প্রেসিডেন্ট অরেলিও ডে লরেন্তিস।