গত বছরের ২৫ নভেম্বর বুয়েন্স আয়ার্সের নিজস্ব বাড়িতে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান ফুটবল কিংবদন্তী ডিয়েগো ম্যারাডোনা। মৃত্যুর পরে তার ব্যবহৃত সকল জিনিসপত্র দুবাইয়ের একটি প্রাইভেট সিকিউরিটি কোম্পানির কাছে গচ্ছিত ছিল। তবে সেখান থেকে চুরি যায় ম্যারাডোনার ব্যবহৃত হিউবোল্টের একটি ঘড়ি। প্রায় এক বছর পরে ভারতের আসাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেই ঘড়িটি।
শনিবার সকাল ৪টায় আসামের শিবসাগর থেকে ওয়াজেদ হুসেইন নামে এক ব্যক্তির বাসভবন থেকে ঘড়িটি উদ্ধার করে আসাম পুলিশ। তবে আসাম পুলিশ দুবাই পুলিশের সাথে সমন্বয় করেই ঘড়িটি উদ্ধার করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
‘ভারতীয় ফেডারেল এলইএ’র মাধ্যমে দুবাই পুলিশের সাথে সমন্বয় করে করে কিংবদন্তী ম্যারাডোনার এই ঘড়িটি উদ্ধার করেছে আসাম পুলিশ। ওয়াজেদ হুসেইনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আসাম পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল ভাস্কর জ্যোতি মহন্ত নিশ্চিত করেন, এটিই সেই ঘড়ি যেটি দুবাইতে ম্যারাডোনার অন্য সকল ব্যবহার্য জিনিসপত্রের সাথে সুরক্ষিত ছিল।
‘দুবাই পুলিশের কাছ থেকে আমরা জানতে পাই, ওয়াজেদ হুসেইন নামে একজন ম্যারাডোনার স্বাক্ষরকৃত হিউবোল্টের একটি লিমিটেড এডিশন ঘড়ি চুরি করে দুবাই থেকে পালিয়ে আসামে অবস্থান নিয়েছে। আজ ভোর ৪টায় আমরা ওয়াজেদ হুসেইনকে তার শিবসাগরের বাসা থেকে গ্রেফতার করেছি। ঘড়িটিকেও তার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।’
ম্যারাডোনার এ ঘড়িটি মূলত হিউবোল্টের একটি লিমিটেড এডিশন ঘড়ি যেটির নাম ‘দি হিউবোল্ট বিগ ব্যাং ম্যারাডোনা। ঘড়িটিতে ম্যারাডোনার সাক্ষর সহ ম্যারাডোনার জার্সি নম্বর ১০ বিশেষ করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ২০১০ সালে ঘড়িটির মাত্র ২৫০ পিস বাজারজাত করা হয়। ঘড়িটির বাজারমূল্য ভারতীয় রুপির ২০ লাখের সমান।