ম্যানসিটির কাছে ২-১ গোলে হেরে বছর শুরু। প্রিমিয়ার লিগে বছরের প্রথমদিনটা ভালো যায়নি আর্সেনালের। গানাররা ম্যাচের ১১ মিনিটে পেনাল্টির জোরাল আবেদন করেছিল। রেফারি সাড়া দেননি, ভিএআরে মীমাংসা হয় কর্নারের।
শনিবার রাতে ম্যাচের পর আর্সেনালের সহকারী কোচ আলবার্ট স্টুইভেনবার্গ ও গোলরক্ষক অ্যারন র্যামসডেল ভিএআর সুবিধা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। মাঠের পাশে থাকা মনিটরের দিকে গিয়ে রেফারিদের ভিডিও পর্যবেক্ষণে আরও ধারাবাহিক হওয়ার কথা বলেছেন তারা।
এমিরেটস স্টেডিয়ামে স্বাগতিকরা নিশ্চিত ছিল সিটি গোলরক্ষক এডেরসন যখন মার্টিন ওডেগার্ডকে চ্যালেঞ্জ করে বসেন, তখন মনিটরে সেটি দেখে রেফারি স্টুয়ার্ট অ্যাটওয়েল পেনাল্টির বাঁশিই বাজাবেন নিশ্চিত। যদিও বাস্তবে সেটি ঘটেনি।
বিরতির পর বের্নার্দো সিলভাকে ডি-বক্সের ভেতর ফাউল করে বসেন গ্রানিত জাকা। রেফারি প্রথমে পেনাল্টির বাঁশি দেননি। পরে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে সিদ্ধান্ত বদল করেন।
ম্যানসিটিকে দেয়া পেনাল্টি ঠিক ছিল কিনা সেটির চেয়ে আর্সেনাল ডাগআউট আরও বেশি বিরক্ত ভিএআরের সঠিক ব্যবহার নিয়ে। করোনা পজিটিভ হওয়ার কারণে কোচ মিকেল আর্তেতা নেই, তার বদলে ডাগআউট সামলানো স্টুইভেনবার্গ খোলাসা করলেন বিষয়টি।
‘আমাদের জায়গায় ভিএআর আছে, তাই রেফারি হিসেবে নিজেকে যাচাই করবেন না কেন? যাচাই করা হয়নি তাই এটা হতাশাজনক।’
আর্সেনাল গোলরক্ষক র্যামসডেল বলেছেন, ‘আমি এটি দুটি পেনাল্টির উপর ভিত্তি করে বলছি , মনিটরে অসঙ্গতি দেখার পর রেফারি এটির দিকে তাকালেই তা সরাসরি বাতিল করে দিতে পারেন। কিন্তু এটি সত্য যে তিনি এটি দেখতে গিয়েছিলেন। প্রথমবার তিনি দুটির কোনটিতেই পেনাল্টির সংকেত দেননি। তাকে যা করতে বলা হয়েছে সেটি করেছেন।’
‘আমি দলের পেনাল্টি পাওয়ার জন্য অন্যপ্রান্ত থেকে চিৎকার করে যাচ্ছিলাম। বের্নার্দো সিলভাকে দাঁড় করিয়ে সেটি ঠিকই করতে দেয়া হয়। পেনাল্টি সবসময়ের জন্যই পেনাল্টি হওয়া উচিৎ। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে বারবার মনিটরের পর্দায় তাকানোর কথাই বলা হচ্ছে।’
পেনাল্টি বিতর্কে অবশ্য ম্যানসিটি কোচ পেপ গার্দিওলা হাস্যরসাত্মক এক মন্তব্য করেছেন, ‘বের্নার্দো সিলভারটা পেনাল্টি ছিল। তবে মার্টিন ওডেগার্ডেরটা ছিল কিনা বলতে পারব না। আমি তখন গোসল করছিলাম তাই এটা দেখতে পারিনি!’