চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘ম্যানসিটিকে আরও দেবার আছে’

বলেছেন ইংল্যান্ড ও ম্যানসিটি মিডফিল্ডার জ্যাক গ্রিলিশ

কিংবদন্তি স্ট্রাইকার সার্জিও আগুয়েরো ম্যানচেস্টার সিটিকে বিদায় বললে তার জায়গায় আসেন জ্যাক গ্রিলিশ। সিটিকে আরও শক্তিশালী করতে ইংলিশ এ মিডফিল্ডারকে রেকর্ড দামে দলে টানেন সিটি বস পেপ গার্দিওলা। কিন্তু অ্যাস্টন ভিলা ছেড়ে সিটিতে এসে যেন পায়ের দক্ষতায় ভাটা পড়েছে গ্রিলিশের।

ছয় বছরের চুক্তিতে সিটির জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাঠের ফুটবলে যেন দমে গেছেন। অ্যাস্টন ভিলায় থাকতে ইংলিশ ফরোয়ার্ডের গোল করা বা করানোর এবং লক্ষ্যে শট রাখার দক্ষতায় পরেছে ঘাটতি। কমেছে মাঠে বড় সুযোগ তৈরির শতাংশও। মাঠের বাইরে বাজে আচরণের জন্য পাচ্ছে শাস্তি, ম্যাচের সময় কাটাতে হচ্ছে সাইডবেঞ্চে।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

এমন যখন চলছে, তখন গ্রিলিশ জানালেন, ম্যানসিটিকে আরও দেবার কথা। নতুন বছরের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেন আরও বেশি গোল করা ও সতীর্থদের দিয়ে জাল খুঁজে নেওয়ার প্রতিশ্রতি।

‘আমি এখনও ঠিকঠাক কাজ করছি’ সাক্ষাৎকারে গ্রিলিশ বলেন, ‘আমার আরও অনেক দেবার আছে। আমি যতটা ভেবেছিলাম কাজটা তার থেকেও অনেক বেশি কঠিন। আমি এখনও শিখছি এবং মানিয়ে নিচ্ছি।’

‘আমি শুনেছি, এখানে মানিয়ে নিতে বছরখানেক সময় লাগে। হয়তো আমার ক্ষেত্রেও এটি হতে যাচ্ছে। আমি আরও গোল করতে চাই। পরের বছর আরও গোলের সুযোগ তৈরি করতে চাই।’

নিজের বড় টাকার চুক্তির জন্য তার কাছে আরও বেশি প্রত্যাশা উল্লেখ করে গ্রিলিশ বলেন, “১০০ মিলিয়ন প্রাইজ ট্যাগ থাকলে, আপনি যখন বাজে সময়ের মাঝ দিয়ে যাবেন, তখন লোকজন প্রশ্ন করবে, ‘কোথায় তার গোল, কোথায় তার এসিস্ট?’ আমি সেটা বুঝি। আমাকে এটা বিশেষ সুবিধা হিসেবে নিতে হবে। আমার জন্য ক্লাব এত খরচ করছে। আমি আশা করি, আমি গোল এবং শিরোপা এনে তাদের শোধ করতে পারব।”

‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা প্রিমিয়ার লিগের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। আমি ইউরোপে খেলতে চেয়েও আগে কখনও ইউরোপে খেলতে পারিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সঙ্গীত শুনতে অসাধারণ লাগে। এটা আমার ভেতরের সত্তা জাগিয়ে তোলে। এটি এমনি এক ট্রফি যা খেলোয়াড়রা জিততে চায়।’

গ্রিলিশ গোল করার চেয়ে করাতেই বেশি পছন্দ করেন। গত মৌসুমে প্রতি ৯০ মিনিটে ০.২৫ শতাংশ গোল করেছেন। এবার যা কমে দাড়িয়েছে ০.১৮ শতাংশে। টার্গেটে শট বাড়লেও কমেছে অন্যসব কিছু। ০.৪১ শতাংশ এসিস্ট এবার হয়েছে ০.১৮তে, বড় সুযোগ তৈরি করার হার কমেছে ০.৩০ শতাংশ।

ম্যানসিটিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখনও ৫ ম্যাচ খেলে একবার জালের দেখা পেয়েছেন এ ইংলিশ। সতীর্থকে করিয়েছেন এক গোল। নতুন বছরে সেরাটা দিয়ে নতুন করে শুরু করবেন গ্রিলিশ।