বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবল লিগ ইংলিশ প্রিমিয়র লিগ। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার বড় দলগুলো একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। চলতি সপ্তাহে আবার তেমনই একটি ম্যাচ। ঘরের মাঠে ম্যানচেস্টার ডার্বিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাটেডের মুখোমুখি হতে চলেছে ম্যানচেস্টার সিটি। রোববার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০টায় হবে বারুদে ঠাসা এই ম্যাচ।
লিগে এখনও অপরাজিত পেপ গার্দিওলার ম্যানসিটি। অন্যদিকে শুরুটা ভালো না হলেও ধীরে ধীরে এগোচ্ছে হোসে মরিনহোর ইউনাইটেডও। ম্যানচেস্টার ডার্বি বরাবরই রোমাঞ্চকর। গত মৌসুমে ঘরের মাঠে দু’গোলে এগিয়ে গিয়েও ড্র করে সিটি। তবে নতুন মৌসুমে কি হয় তা তো সময়ই বলবে।
পুরনো লড়াইয়ের সঙ্গে নতুন রঙ যোগ করেছেন মরিনহো-গার্দিওলা। দুজনে স্প্যানিশ লিগে রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনা প্রতিদ্বন্দ্বীতার আবহ নিয়ে এসেছেন ইংল্যান্ডে। তবে এই ম্যাচে এমন তিন লড়াই হবে যা ম্যানচেস্টার ডার্বি জয়ের ভূমিকা নিতে পারে…
রাহিম স্টার্লিং বনাম অ্যাশলে ইয়াং
ম্যানইউ’র অন্যতম নির্ভরশীল খেলোয়াড় ইয়াং। ডানদিক-বাঁ-দিক দু’দিকেই খেলতে সিদ্ধহস্ত তিনি। সিটির বিরুদ্ধে ম্যাচে তার অধিনায়ক হওয়ার সুযোগ সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে তার বিপক্ষে জাতীয় দলে তারই সতীর্থ স্টার্লিং । গত মৌসুমে ২৩ গোল করেছিলেন। এই মৌসুমেও ইতিমধ্যে ১৪ ম্যাচে সাত গোল করে ফেলেছেন। প্রচুর ওয়ার্কলোড নেন দু’জনেই।
অ্যান্থনি মার্শিয়াল বনাম কাইল ওয়াকার
ম্যাচে নজর থাকবে এই দু’জনের লড়াইয়ের ওপরও। ২০১৭তে গার্দিওলার দলে যোগ দেয়ার পর থেকেই দায়িত্ব নিয়ে নিজের খেলাটা খেলে চলেছেন ওয়াকার। অন্যদিকে এই মৌসুমে শুরু থেকেই নির্ভরতা দিচ্ছেন তরুণ খেলোয়াড় মার্শিয়াল। লিগে ইতিমধ্যেই আট ম্যাচে করেছেন পাঁচ গোল। একসময় দলে নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছিলেন না। তবে এখন তিনিই দলের ত্রাতা। গত ম্যাচে সংযোজিত সময়ে জয়সূচক গোল এবং চেলসির বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেছিলেন ফরাসি তারকা।
আন্দ্রে হিয়েরা বনাম বার্নার্ড সিলভা
তৃতীয় এবং সবচেয়ে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে হতে পারে এই দু’জনের মধ্যে। চলতি মৌসুমে চোট পেয়ে দলের বাইরে সিটির তারকা খেলোয়াড় কেভিন ডি ব্রুইন। অবশ্য তার অনুপস্থিতি বুঝতে দিচ্ছেন না পর্তুগিজ সিলভা। পাসে থাকা ডেভিড সিলভাকে নিয়ে রীতিমতো দাপট দেখাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে ইউনাইটেডের হয়ে সব বড় ম্যাচেই মাঠে নেমেছেন হিয়েরা। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডের কাজ করেছেন। দলের অন্যতম পরিশ্রমী খেলোয়াড় তিনি।