জুভেন্টাসে দুটি ট্রফি, বছরে ৪৭বার জালের দেখা, পুরনো ক্লাব ম্যানইউতে ফেরা ও আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বাধিক গোলের বিশ্বরেকর্ড— ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অনেক পাওয়ার বছরে হারানোর তালিকাও নেহাত ছোট নয়।
সিরি আ হাতছাড়া, ইউরোয় শেষ ষোলোতে বিদায়, কাতার বিশ্বকাপে সরাসরি টিকেট অর্জনে ব্যর্থতা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে নড়বড়ে মৌসুম পার করা। সবমিলিয়ে শেষ হওয়া বছরের সালতামামি টেনেছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। বছর শেষে নিজেকে নিয়ে গর্বিত থাকলেও ম্যানইউর অবস্থানে নাখোশ তিনি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইতিমধ্যে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে রোনালদোর ক্লাব, কিন্তু ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এখন ৬ নম্বরে। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে রোনালদো জানিয়েছেন, দলের এমন অবস্থায় খুশি নন তিনি।
‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে আমরা যা অর্জন করছি তাতে আমি খুশি নই। আমি নিশ্চিত, এমন অবস্থায় কেউই খুশি নন।’ রোনালদো নিজেদের উন্নতির কথা উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, আরও ভালো খেলতে হবে, আমরা এখন যতটা করছি তা আরও বাড়াতে হবে।’
ক্লাব নিয়ে অখুশি থাকলেও ক্যারিয়ারে দারুণ বছর পার করেছেন পর্তুগিজ মহাতারকা। নিজের ৪৭ গোল পাওয়া বছরে শুনিয়েছেন কিছু না পাওয়ার কথাও। দুটি ভিন্ন ক্লাব, পাঁচ কোচের অধীনে খেলা। পর্তুগালের হয়ে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থতা। রোনালদোর মতে, সবমিলিয়ে ২০২১ সালটা ততটা সহজও ছিল না।
সিআর সেভেন নিজের পাওয়াগুলো সালতামামিতে টেনে লিখেছেন, ‘জুভেন্টাসে ইতালিয়ান কাপ ও ইতালিয়ান সুপারকাপ জয় এবং সিরি আ’য় সর্বোচ্চ গোল করতে পেরে গর্বিত।’
‘ইউরোতে পর্তুগালের হয়ে সর্বোচ্চ গোল স্কোরার হওয়াও এই বছর। ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রত্যাবর্তন আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আইকনিক মুহূর্তগুলির একটি।’
কিন্তু ইপিএলে রেড ডেভিলরা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। ১৮ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট। শিরোপা দৌড়ে ধারেকাছেও নেই ম্যানইউ। এমন বিবর্ণ পারফরম্যান্সের পর উপলব্ধির জায়গায় নাড়া খেয়েছে রোনালদোর।
সঙ্গে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের টিকেট কাটা যে পর্তুগালের বাকি আছে এখনও, রোনালদোকে সেটি নিয়েও বেশ সতর্ক থাকতে হচ্ছে। থাকতে হচ্ছে অনুপ্রাণিত।