বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই এটি কোনো ভোটকেন্দ্র। নেই লোক সমাগম বা দীর্ঘ কোনো লাইন। ভেতরে গিয়ে দেখা যায় অলস সময় পার করছেন ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রিজাইডিং অফিসারসহ পোলিং এজেন্টরা।
রাজধানীর নাখাল পাড়ার রোড বাড গার্ডেন স্কুলের চিত্র এটি। সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেলেও এ কেন্দ্রে দেখা যায়নি ভোটারদের তেমন কোনো উপস্থিতি।
৬টি বুথের প্রতিটিতে সাড়ে ৩৫০শ’র অধিক ভোটার সংখ্যা হলেও দুপুর অবধি সেখানে ভোট পড়েছে গড়ে ৩১ থেকে ৩২টি।সক্রিয় অবস্থানে দেখা গেছে নৌকার এজেন্টদের।
সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের নানারকম প্রশ্ন করছেন নৌকার এজেন্টরা। তথ্য সংগ্রহ করে বের হবার সাথে সাথেই বাধার মুখে পড়তে হয় এ প্রতিবেদককে। সেখানে অপেক্ষমান নৌকার পক্ষের এক সমর্থক বলেন: ম্যাডাম ভোটকেন্দ্রের ভেতরে কী দেখেছেন? আমি জানতে চাচ্ছি আমাকে বলেন।
নারী ভোটারদের উপস্থিতি প্রতিটি কেন্দ্রেই দেখা গেছে উল্লেখযোগ্যহারে কম। ভোটারের চেয়ে সমর্থক বেশি দেখা গেছে কেন্দ্রগুলোতো। কিছু কিছু কেন্দ্রে সাংবাদিক প্রবেশেও দেয়া হচ্ছে বাধা।
এ বিষয়ে দায়িত্বপালনরত তেঁজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার এসআই তৌহিদুল বলেন: ক্যামেরাসহ সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।
কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের চেয়ে উৎসুক জনতাই দেখা গেছে বেশি।
নারী ভোটারদের উপস্থিতি প্রতিটি কেন্দ্রেই দেখা গেছে উল্লেখযোগ্যহারে কম। অলস সময় পার করতে দেখা গেছে দায়িত্বরত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।
মিলছে না আঙুলের ছাপ
ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় ইভিএমে আঙুলের ছাপ মেলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রিজাইডিং অফিসারেদর। হাতের দশ আঙুলের ছাপ নেয়ার পরও মিলছে না ইভিএমে।
এ বিষয়ে দায়িত্বরত এক প্রিজাইডিং অফিসার বলেন: আমরা যত সময়ই লাগুক চেষ্টা করছি সবাই যেনো ঠিকমত ভোট দিয়ে যেত পারেন। কাউেক আমরা ফেরাচ্ছি না। সবাই ঠিকমতো ভোট দিয়ে যাচ্ছে।
সকাল আটটায় ঢাকার দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত। এবারের ভোটে ঢাকা উত্তরে ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন ভোটার ভোট দেবেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৭ এবং নারী ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৭০৬ জন। উত্তরে মোট ভোটকেন্দ্র ১ হাজার ৩১৮টি, মোট সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড সংখ্যা ১৮টি। এ ছাড়াও ভোটকক্ষ রয়েছে ৭৫৪টি।