বোলিংয়ের পর ব্যাটিং, ২২ গজে কাটছে দারুণ সময়। মাউন্ট মঙ্গানুইতে ম্যাজিক ধরে রেখেছেন টাইগাররা। অধিনায়ক মুমিনুল হকের পর ফিফটি তুলে নিয়েছেন লিটন দাস। তিনশ পেরিয়ে লিড থেকে আর ২১ রান দূরে বাংলাদেশ।
সোমবার সকালের সেশনে দুই উইকেট হারালেও দ্বিতীয় সেশনে নিউজিল্যান্ডকে হতাশই করেছে সফরকারীরা। উদ্বোধনীতে জয়ের পর আরও দুই ফিফটি, বড় সংগ্রহের পথ নাগালে।
কিউইদের প্রথম ইনিংসে করা ৩২৮ রানের জবাবে দ্বিতীয় সেশন কাটিয়ে চা বিরতি পর্যন্ত টাইগারদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩০৭ রান। স্বাগতিকদের চেয়ে এখন ২১ রানে পিছিয়ে মুমিনুলের দল।
মধ্যাহ্নভোজের পর আর কোনো হোঁচট খেতে দেননি লিটন দাস, আছেন ৫১ রান নিয়ে। অপর প্রান্তে ৬১ রান নিয়ে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন মুমিনুল হক।
নিউজিল্যান্ড: ৩২৮, বাংলাদেশ: ৩০৭/৪ (১১৯ ওভার) (চা বিরতি)
১০৮ রানে পিছিয়ে লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে দ্রুতলয়ে রান তুলেছে বাংলাদেশ। মুমিনুল অপরাজিত ক্যারিয়ারের ১৫তম ফিফটির পর। লিটন দেখা পেয়েছেন ১১তম ফিফটির।
সকালে ২ উইকেটে ১৭৫ রানে দিনের শুরু করে বাংলাদেশ। আগেরদিন ৭০ রানে অপরাজিত থাকা জয় সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগালেও সেটির অপমৃত্যু ঘটিয়েছেন নিজেই। ওয়াগনারের অফস্টাম্পের বাইরের নির্বিষ এক বল তাড়া করতে গিয়ে গালিতে নিকোলসের হাতে ধরা পড়েন। ২২৮ বলে ৭ চারে ৭৮ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস তার।
খানিক পরে বেঁচে যান মুমিনুল। জেমিসনের বলে আগেভাগে ফ্লিক করে বসেছিলেন। ব্যাটের কানায় লেগে বল ফেরত যায় বোলারের হাতে। জেমিসন ঝাঁপিয়ে পড়েও হাতে জমাতে পারেননি।
পরে ওয়াগনারের বলে আউট হয়েও নো বলের সুবাদে টিকে যান মুমিনুল। কিউই পেসারের করা ব্যাক অব লেন্থের কোনাকুনি বলে মুমিনুল ব্যাট সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেও পারেননি। বল ব্যাটে আলতো ছুঁয়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসবন্দি হয়। আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। টিভি রিপ্লেতে ওয়াগনারের বুট পরিস্থিতি আনে নো বলের সংকেত। ৯ রানে মুমিনুল জীবন পান।
বেশ ধৈর্য নিয়ে খেলছিলেন মুশফিক। রান করার চেয়ে মাটি কামড়ে পড়ে থাকাতে দেন মন। নতুন বলে পেসারদের চ্যালেঞ্জটা শেষপর্যন্ত সামলাতে পারেননি। বোল্টের রাউন্ড দ্য উইকেটে ফুল লেন্থের সুইং বল স্কয়ারলেগে খেলতে গিয়েছিলেন। ভুল লাইনে ব্যাট চালিয়ে দেন। ছিল না পায়ের নড়াচড়াও। উপড়ে যায় অফস্টাম্প। ৫৩ বলে এক চারে মি. ডিপেন্ডেবলের ইনিংস থামে ১২ রানে।