চট্টগ্রাম থেকে: ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বাংলাদেশের বোলাররা নাগালেই রেখেছিলেন লক্ষ্য। ২৪৭ রান তাড়া করতে বেগ পেতে হয়নি স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের। ইমরুল কায়েস ৯০ ও লিটন দাস খেলেছেন ৮৩ রানের ইনিংস। তাদের কেউই পাবেন ম্যাচসেরার পুরস্কার এমনটাই ভেবেছিলেন সবাই! সাইফউদ্দিনের ভাবনাতেও ছিল তেমন কিছুই! তাইতো ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হওয়ার পর অবাকই হয়েছেন এ তরুণ পেসার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১০ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে সাইফউদ্দিন নেন ৩ উইকেট। হয়েছেন ম্যাচসেরা। ম্যাচপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন, অভাবিত ছিল ম্যাচসেরা হওয়ার ব্যাপারটি।
‘চেষ্টা ছিল টিমকে কিছু দেবো। পেরেছি এটাতেই আমি খুশি। ম্যান অব দ্য ম্যাচ নিয়ে ভাবনায় ছিলাম না। হঠাৎ যখন ঘোষণা করা হল ভীষণ অবাক হয়েছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ডেথ ওভারেও দুর্দান্ত বল করেছেন সাইফউদ্দিন। রান আটকে রাখেন, নেন উইকেট। অথচ ক্যারিয়ারের শুরুতে শেষের দিকের বোলিংয়ে ছিল বিপন্ন অবস্থা।
সাউথ আফ্রিকা সফরে টি-টুয়েন্টি সিরিজে ডেভিড মিলার সাইফউদ্দিনের এক ওভারে হাঁকান পাঁচটি ছক্কা। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিপিএলের এক ম্যাচেও ওভারে হজম করেছিলেন পাঁচ ছক্কা।
সেই সাইফউদ্দিনই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করলেন হিসেবি বোলিং। জানালেন, এর পেছনে কাজ করেছে বাবার অনুপ্রেরণামূলক কথা ও অভিজ্ঞদের কাছ থেকে শেখা।
‘আসলে কিছু সময় সাফল্য পেতে গেলে মানুষ একটু হোঁচট খেতেই পারে। আমি সব সময় বিশ্বাস করি, আমার বাবা বলতেন- একটা ছেলে হাঁটা শিখতে গেলে বারবার হোঁচট খায়। তাই বলে কি তার হাঁটা বন্ধ হয়ে যায়? একইরকম আমিও মার খাবো। ওখান থেকেই তো শিখব।’
‘আমি ছোটবেলায় যখন অনূর্ধ্ব-১৫, ১৭ খেলতাম। যখন মিরাজ অধিনায়ক ছিল। তখন থেকেই ডেথ ওভারের বোলিংয়ে অভিজ্ঞ। হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম কয়েকটা ম্যাচ ওইরকমভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারিনি। কিন্তু মিরাজের সঙ্গে আমার কথা হয়, মোস্তাফিজের সঙ্গে কথা হয়। সে খুব অভিজ্ঞ বোলার। বলে কীভাবে কি করলে সাফল্য পাওয়া যায়।’