কদিন পরেই আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে আইরিশরা কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে টাইগাররা সেটার নমুনা দেখতে পেলেন শুক্রবার ইংল্যান্ডের ম্যাচটা দেখে। হরহামেশা ৪০০ ছুঁইছুঁই রান করাকে যারা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে, সেই ইংলিশদের এদিন ১৯৯ রান পর্যন্ত তাড়িয়ে বেরিয়েছে আইরিশরা!
ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের আগে নিজ মাটিতে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। সেই সিরিজের আগে নিজেদের ব্যাটের মরিচা ঝাড়তে পাশের দেশ আয়ারল্যান্ডকে বেছে নিয়েছিল ইয়ন মরগানের দল। সুযোগ বুঝে নিজেদের সক্ষমতাও দেখিয়েছে প্রতিবেশীরা। যেটি বিশ্বকাপ সামনে রেখে ইংল্যান্ডের জন্য হতে পারে ওয়েকআপ কল!
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাবলিনে প্রথমে ব্যাট করে লিয়াম প্লাঙ্কেট ও টম কারেনের বোলিং তোপে ১৯৮ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন ওপেনার পল স্টার্লিং। প্লাঙ্কেট নিয়েছেন ৪ উইকেট। কারেনের শিকার ৩।
ইংলিশদের ব্যাটিং শক্তি বিবেচনায় এই লক্ষ্য খুবই অল্প। কিন্তু অভিষিক্ত পেসার জস লিটেলের তোপে সেই রানেই কাঁপা শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। ১০১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দেখছিল হার। এই ছয় ব্যাটসম্যানের চারজনই ঘায়েল হয়েছেন লিটেলের বলে।
শেষ পর্যন্ত দলকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন আরেক অভিষিক্ত বেন ফোকস। এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের ম্যাচ সেরা অপরাজিত ৬১ রানে ১৮ বল বাকি থাকতে লজ্জার হার এড়ায় ইংল্যান্ড।
এমনটা যে হতে পারে সেটা আগেই ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন মরগান। আয়ারল্যান্ডের বেশিরভাগ খেলোয়াড় কাউন্টি ক্রিকেট খেলায় ইংলিশ ক্রিকেটারদের শক্তি-দুর্বলতার জায়গাটা ভালোই জানা তাদের। নিজের মাতৃভূমির বিপক্ষে নিজেও ভালো করতে পারেননি মরগান। সাজঘরে ফিরেছেন শূন্যরানে।
এই ম্যাচে তিনজন করে ক্রিকেটার অভিষিক্ত করিয়েছে ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ড দলই। ডেভিড মালান, বেন ফোকস ও জফরা আর্চার প্রথম ওয়ানডে খেলেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে। আইরিশদের হয়ে অভিষেক হয়েছে মার্ক অ্যাডায়ের, টিম মারটাঘ ও জস লিটেলের।
ম্যাচে ইংলিশ নির্বাচকদের বিশেষ নজর ছিল জফরা আর্চারের দিকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলা এ পেসার ইংলিশদের হয়ে কেমন খেলেন সেটাও ছিল দেখার। তবে অভিষেকে মনে রাখার মতো কিছু করেননি আর্চার। ৮ ওভারে ৪০ রান খরচ করে কেবল উপড়ে দিয়েছেন মার্ক অ্যাডায়েরের উইকেট।