রামন ম্যাগসেসে পুরস্কার-২০১৯ জিতলেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির নির্ভীক সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত রভীশ কুমার।
এনডিটিভি জানায়, এই পুরস্কার রভীশকে এনে দিয়েছে এশিয়ার সেরা সাংবাদিকের স্বীকৃতি।
এনডিটিভি আরও জানায়, রভীশ কুমার মানেই সাহসী সাংবাদিকতার দৃষ্টান্ত। জ্বলন্ত সমস্যার চুলচেরা বিশ্লেষণে পারদর্শী। রভীশ কুমার মানেই মৌন অত্যাচারিতদের মুখে প্রতিবাদের ভাষা হয়ে জ্বলে ওঠা। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে তিনি এভাবেই সাংবাদিকতায় কাজ করে চলেছেন এনডিটিভির সঙ্গে। তিনি নির্ভীক সাংবাদিকতার হাতিয়ার। রভীশের বিশ্লেষণ শুনতেই সকালে চ্যানেলের প্রাইম টাইমের অপেক্ষায় বসে থাকেন বহু ভক্ত শ্রোতা-দর্শক।
রভীশ কুমারকে এই পুরস্কারে ভূষিত করে সংস্থা বলেছে, প্রাইম টাইমে রভীশ বরাবর সেই সব ঘটনার কথা তুলে ধরেছেন যা জাতীয় জীবনকে প্রতিমুহুর্তে বিপর্যস্ত করেছে। কঠিন সেই মুহুর্তে যখন কারো মুখ খুলেনি, রভীশ গর্জে উঠেছেন নিযাতিতদের পক্ষে।
সংস্থার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, কোনা সাংবাদিক যখন সাধারণের মুখের ভাষা হয়ে ওঠেন তখন তিনি প্রকৃত সাংবাদিক। রভীশ কুমার বরাবর তার নিউজরুমকে জনগণের নিউজ রুম বলে পরিচয় দিয়েছেন সবার কাছে। নির্ভয়ে তুলনা করেছেন ভালো-মন্দের। নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে যেকোনো চ্যালেঞ্জিং ঘটনার চুলচেড়া বিশ্লেষণ করেছেন।
মানপত্রে রভীশের প্রশংসা করে বলা হয়েছে, শুধুই নির্ভীক নন, রভীশ অত্যন্ত মার্জিত, স্থিতধী ব্যক্তিত্বের অধিকারী। একই সঙ্গে তীক্ষ্ণ মেধাসম্পন্ন এবং সময়ে সময়ে আক্রমণাত্মকও। তবে কখনও তিনি তার অতিথির সঙ্গে অভদ্র আচরণ করেননি। বরং কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন আমন্ত্রিত বিশিষ্ট জনদের। একই সঙ্গে প্রতিটি খবরের গভীরে গিয়ে অনুসন্ধান চালান তিনি।
১৯৯৬ সালে এনডিটিভি চালু হওয়ার পর থেকেই ‘প্রাইম টাইম’-এ যোগ দেন রভীশ কুমার। বিহারের জিতওয়ারপুরের জন্ম নেওয়া রভীশ ভারতের ইতিহাস এবং জনসংযোগ মাধ্যম নিয়ে বরাবরই আগ্রহী। তিনি স্নাতকোত্তর করেছন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
চলতি বছরের রামন ম্যাগসেসে পুরষ্কারের জন্য তার নির্ভীক সাংবাদিকতার জন্য ২০১৮ সালেই রভীশ কুমারকে বেছে নেয় পুরস্কার কমিটি।
রভীশ কুমার ছাড়াও এই বিশেষ পুরস্কারপেয়েছেন আরও চার সাংবাদিক। তারা হলেন- থাইল্যান্ডের অঙ্গখানা নীলাপাইজিৎ, মিয়ানমারের কো সুয়ে, ফিলিপিন্সের রেমুন্ডো পুজান্তে সায়াবায়ার এবং সাউথ কোরিয়ার কিম জং কি।