বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদী আ ফ ম মোহিতুল ইসলামের প্রথম জানাযা বাদ আসর শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মোহিতুল ইসলামের মরদেহ বর্তমানে মিরপুরের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুক্রবার যশোরের ঝিকরগাছা হাইস্কুল মাঠে দ্বিতীয় জানাযা এবং জুম্মার পর মনিরামপুরের কাশিমপুরে নিজ বাড়ির মসজিদে তৃতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হবার পর পারিবাবিক গোরস্থানে মা’য়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদী মোহিতুল ইসলামের মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে আসেন মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট লালবাগ থানায় গিয়ে এই মোহিতুল ইসলাম প্রথম বঙ্গবন্ধু হত্যার মামলা দায়ের করার চেষ্টা করে। সেদিন উনাকে পাগল বলে থানা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আজকে ইতিহাসের একটা অধ্যায় শেষ হলো।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল হক হানিফ বলেন, মোহিতুল ইসলামের শেষ ইচ্ছা ছিল জীবন দশায় বঙ্গবন্ধুর সকল খুনীদের রায় কার্যকর দেখে যাওয়া। এখন বঙ্গবন্ধুর অন্যান্য খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যক্রর করলে উনার আত্মা শান্তি পাবে।
কিডনি সমস্যা নিয়ে গত মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মোহিতুল ইসলাম।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, ১২ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত তিনি আইসিইউতে ছিলেন, ওইদিন অবস্থা স্বাভাবিক হলে তাকে আমরা কেবিনে নিয়ে যাই। এবং আবার শারিরীক অবস্থা খারাপ হলে তাকে আইসিইউতে স্থান্তান্তর করা হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্তই তিনি আইসিইউতে ছিলেন। কয়েকদিন ধরে তার অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকার সময় তার আবাসিক সহকারী ছিলেন মোহিতুল ইসলাম। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যার সময় তিনি ওই বাড়িতেই ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের বাধা কেটে যাওয়ার পর ওই বছরের ২ অক্টোবর মামলা করেন মোহিতুল ইসলাম। ওই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষে ৫ আসামীর মৃত্যুদণ্ড এরই মধ্যে কার্যকর হয়েছে।