আজ আষাঢ়ের প্রথম দিন। বর্ষার আগমনে প্রকৃতি বদলেছে নানা রূপে, নানা চিত্রধারায়। রুক্ষ প্রকৃতিতে বর্ষা দেবে প্রাণের সঞ্চার।
শুধু সাহিত্য-সংস্কৃতিতে নয় বাঙালির জীবন-পরিবেশ-কৃষ্টি আর উৎসবে বিপুলভাবে ছড়িয়ে আছে বর্ষার আলোকবর্তিকা।
বর্ষা আবিষ্ট হয়ে আছে বাঙালির আরাধনায়।
তাপিত গ্রীষ্মের অবসান বর্ষার আগমনে। দাবদাহে অতিষ্ঠ প্রকৃতি আর মানবকূলকে মুক্তি দেবে মেঘ আর বৃষ্টি।
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় বর্ষা নিয়ে রয়েছে উচ্ছ্বসিত বন্দনা। ষড়ঋতুর সবচেয়ে রহস্যময়ী বর্ষার রূপ, বৈচিত্র্য, বর্ণচ্ছটা আর আকাশ-প্রকৃতির গভীরতা আবহমানকাল থেকেই স্পন্দিত করে আসছে সাহিত্যিক, শিল্পী আর কবিদের।
রিমঝিম বৃষ্টির ছন্দ, পেখম খোলা ময়ুরের উচ্ছল নৃত্য কিংবা কদমফুলের চোখ জুড়ানো শোভাতেইতো সাধের আষাঢ়।
নবধারা জলে ভিজে শীতল হওয়ার আহ্বান এখন প্রকৃতিতে। সব রুক্ষতাকে বিদায় জানিয়ে নরম-কোমল হয়ে উঠবে বাংলার মাটি। নতুন প্রাণের আনন্দে অঙ্কুরিত হবে গাছপালা, ফসলের মাঠ। মাঠে মাঠে কৃষকের মুখে ফুটে উঠবে হাসি। বর্ষা দেখাবে নতুন স্বপ্ন।