সিলেট থেকে: লাঞ্চ বিরতিতে মাঠের এক কোণে বল হাতে দাঁড়িয়ে মোস্তাফিজুর রহমান। কোর্টনি ওয়ালশের অধীনে বোলিং অনুশীলনে আরও দুই পেসার। সিলেটের খালেদ আহমেদ ও শফিউল ইসলাম। পশ্চিম গ্যালারির সব দর্শক জড়ো হতে শুরু করলেন সেখানে।
স্কুলের ইউনিফর্ম পরে আসলেই টিকিট ছাড়া দেখা যাচ্ছে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের অভিষেক টেস্ট। এমন সুযোগে মাঠে হাজির হয়েছেন শ’তিনেক শিক্ষার্থী। খুব কাছে থেকে ‘কাটার মাস্টারের’ বোলিং দেখতে পারার রোমাঞ্চ ছুঁয়ে গেল তাদের।
সিলেট টেস্টে চালকের আসনে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে ১৩৯ রানের লিড নিয়ে ব্যাটিং নামা সফরকারীরা দ্বিতীয় ইনিংসেও করছে দারুণ ব্যাটিং। রানের বোঝা ভারী করছেন মাসাকাদজা-উইলিয়ামসরা। কিন্তু সফরকারীদের ব্যাটিং দেখার চেয়ে মোস্তাফিজের বোলিং দেখতে পারাকেই সৌভাগ্য মনে করছে মাঠে আসা কিশোররা।
মোস্তাফিজ খেললে ম্যাচের চিত্র অন্যরকমও হতে পারত। এক পেসার নিয়ে খেলায় তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে স্পিনারদের দিকেই। আরেকজন স্পেশালিষ্ট পেসারের অভাব ভালোই টের পাচ্ছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের পেসাররা যেখানে দাপট দেখিয়েছেন, সেখানে মোস্তাফিজ থাকলে কী হতে পারত সে ধারণা করা তো কঠিন কিছু নয়!