শুরু থেকে শেষঅবধি দারুণ বোলিংয়ের প্রদর্শনী জারি রেখে লক্ষ্যটা ছোটই রাখতে পারল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া ২৪৮ রানের লক্ষ্য ছুঁতে পারলেই ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত হবে মাশরাফীর দলের। মোস্তাফিজ ৪ ও মাশরাফী ৩টি উইকেট তুলে দিনটা বোলারদের করে নিয়েছেন।
ডাবলিনে শাই হোপের ৮৭ ও জেসন হোল্ডারের ৬২ রানে লড়াই করার পুঁজি পায় ক্যারিবীয়রা। নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৭ রানে পৌঁছায় আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা দলটি।
আমব্রিসকে (২৩) ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছিলেন মাশরাফী। টাইগার অধিনায়ক পরে নিয়েছেন আরও দুই উইকেট। শেষপর্যন্ত ১০ ওভারে ৬০ রান খরচায় তার ঝুলিতে ৩ উইকেট। উইন্ডিজের বিপক্ষে আগের ম্যাচেও নিয়েছিলেন তিন উইকেট।
গত ম্যাচের মতো মিরাজ ও সাকিব কম রান দেয়ার প্রদর্শনী জারি রেখেছেন এদিনও। মিরাজ ১০ ওভারে ৪১ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন। সাকিবেরও উইকেট ১টি, ১০ ওভারে এক মেডেনে খরচ ২৭ রান।
উইন্ডিজের সেরা ইনিংসটি হোপের, ৬ চার ও এক ছক্কায় ১০৮ বলে ৮৭ রানের। বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা চতুর্থ সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন। মাশরাফী উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দী করলে সেটি আর হয়নি।
২০১৮ সালে ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত ১৪৬ রানের একটা ইনিংস খেলেছিলেন শাই হোপ। সেই শুরু। পরের দুই দেখাতেও তুলে নেন শতক। সিলেটে অপরাজিত ১০৮, ডাবলিনে ত্রিদেশীয় সিরিজে ১০৯, সোমবার সেখানেই খেললেন ৮৭ রানের আরেকটি ইনিংস।
হোল্ডার ৬২ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৭৬ বলে, ৩ চার ও এক ছয়ে। বাকিদের মধ্যে ব্রাভো ৬, চেজ ১৯, কার্টার ৩, অ্যালেন ৭ রানে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি।
এদিন টাইগারদের জন্য সুখকর হতে পারে মোস্তাফিজের ছন্দে ফেরা। কয়েকটি ম্যাচে খরুচে বোলিং করে আলোচনায় ছিলেন ফিজ, সেটি কাটিয়ে উঠেছেন, নিয়েছেন ৪ উইকেট। ৯ ওভারে খরচ কেবল ৪৩ রান, আছে একটি মেডেনও।