মাত্র ১২৭ রানের পুঁজি নিয়েও ঢাকা ডায়নামাইটসকে হারিয়ে দিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। শেষ ওভারে ১৩ রান ডিফেন্ড করে জয়ের নায়ক মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ম্যাচে ৪ উইকেট শিকার করা এ পেসার জানালেন, শেষ ওভারে বল হাতে নিতেই চোখে ভেসেছে মোস্তাফিজের ছবি।
রাজশাহীর পেসার মোস্তাফিজুর রহমান মিরপুরেই রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৯ রান ডিফেন্ড করে ম্যাচ জেতান তার দলকে। সেটিই অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে সফল সাইফউদ্দিন।
‘মোস্তাফিজ একইরকম একটা ম্যাচ জিতিয়েছিল রংপুরের বিপক্ষে। আমি এগুলো অনুভব করছিলাম। মোস্তাফিজ আমার বয়সী। ও পারলে আমি কেন পারব না, এই জিনিসটা মাথায় রেখে আমি বল করে সফল হয়েছি।’
প্রথম বলে রুবেল হোসেনকে এলবিডব্লিউ করে জয়ের আশা দেখান সাইফউদ্দিন। শাহাদাত হোসেন রাজিব ১ রান নিয়ে স্ট্রাইক দেন আন্দ্রে রাসেলকে। শেষ চার বলে দরকার তখন ১২ রান। পরের দুই বল দেন ডট। তাতে শেষ দুই বলে দরকার পড়ে দুটি ছক্কা।
পঞ্চম বলে ঠিকই ছক্কা মেরে বসেন রাসেল। বলটা অফস্টাম্পের অনেকটা বাইরে করেছিলেন সাইফউদ্দিন। নাগালের বাইরের বলটিও অদ্ভূতভাবে লংঅফের উপর দিয়ে মেরে বসেন এ বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান।
শেষ ডেলিভারির আগে মিরপুরে নেমে আসে পিনপতন নীরবতা। দারুণ এক ইয়র্কারের মুখে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটেেট পেছন দিয়ে ৪ রানের বেশি নিতে পারেননি রাসেল। তাতে ১ রানের দারুণ এক জয় পেয়ে যায় কুমিল্লা। নিখুঁত বোলিং করে যাওয়া সাইফউদ্দিন ম্যাচ শেষে জানান কী পরিকল্পনায় করেছেন শেষের ছয়টি বল।
‘সবাই পরিকল্পনা নিয়ে আগায়। আমার পরিকল্পনা ছিল ওয়াইড ইয়র্কার (যে বলে ছয় হজম করেন)। তবে আন্দ্রে রাসেল পাওয়ার হিটার, সে ভালো একটা ছয় মেরে দিয়েছে। যেহেতু ওয়াইড ইয়র্কার হয়নি তাই শেষ বল ১০০% ইয়র্কার করেছি।’