বার্মিংহাম থেকে: আবির্ভাবে একাই কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন ভারতকে। মায়াবী কাটারে রোহিত-কোহলি-ধোনিদের বিষম খাইয়ে বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছিলেন তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ (২-১)। রাতারাতি তারকা বনে যাওয়া মোস্তাফিজুর রহমানের শুরুর গল্প নতুন করে সামনে নিয়ে আসছে এজবাস্টনের উইকেট।
ভারতীয় ক্রিকেট সাংবাদিক সন্দীপন ব্যানার্জি মনে করেন, মোস্তাফিজ তার মূল অস্ত্র কাটার ধরানোর জন্য মঙ্গলবার ভারতের বিপক্ষে পেতে যাচ্ছেন আদর্শ উইকেট।
সন্দীপন এজবাস্টন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের প্রেসবক্সে বসে দেখেছেন ইংল্যান্ড-ভারত ম্যাচ। রোববার যে উইকেটে খেলা হয়েছে সেটিতেই মঙ্গলবার খেলবে বাংলাদেশ-ভারত। আগের ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকে জোর গলায় বললেন, এই উইকেট মোস্তাফিজের জন্য।
‘মোস্তাফিজ শুরুর দিকে ভালো করতে না পারলেও ডেথ ওভারে কিন্তু কামব্যাক করছে। আজকের ম্যাচের কথা যদি বলি, এই উইকেট কিন্তু মোস্তাফিজের জন্য। তার জন্য ইংল্যান্ডে আদর্শ উইকেট যদি কোনোটি থেকে থাকে, সেটি এটি। আগের ম্যাচে দেখেছি লিয়াম প্লাঙ্কেট বা অন্য বোলাররা স্লো বল বা স্লোয়ার বাউন্সার ভালোভাবে এক্সিকিউট করছিল ভারতের ব্যাটসম্যানদের সামনে। আজ মোস্তাফিজের জন্য আদর্শ উইকেট। ওর কাটার যদি পিচে হালকা গ্রিপ করে, তাহলে ভারতের ব্যাটসম্যানদের পক্ষে অন দ্য রাইজ খেলা বা ড্রাইভ মারা সমস্যার হতে পারে।’
সুখস্মৃতি ভালো করার অনুপ্রেরণা দেয়, যোগায় আত্মবিশ্বাস। সে পথ ধরে মোস্তাফিজ নিশ্চয়ই চাইবেন এজবাস্টনে ৪ বছর আগের মিরপুরকে ফিরিয়ে আনতে। বাংলাদেশের বিশ্বকাপে টিকে থাকার স্বপ্নকে কাঁধে নিয়ে পুরনো ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারলে ফিজই হতে পারেন ম্যাচজয়ের প্রভাবক!
এগিয়ে বাংলাদেশের মিডলঅর্ডার
বিশ্বকাপে ভারত অন্যতম ফেভারিট। সার্বিক শক্তির বিচারে নিজ দেশকে এগিয়ে রাখলেও মিডলঅর্ডারের ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখছেন সন্দীপন।
‘আমার মনে হয় বাংলাদেশের মিডলঅর্ডার ভারতের চেয়ে কিছুটা শক্তিশালী। বাংলাদেশের মিডলে অভিজ্ঞ সব ব্যাটসম্যান। সাকিব তিনে উঠে এসে খেলছে, মুশফিকুর আছে। মাহমুদউল্লাহ, জানি না তার ইনজুরির কী অবস্থা। অভিজ্ঞ মিডলঅর্ডার। ভারতের মিডল সেদিক থেকে ভঙ্গুর। ধোনি সেই ধোনি নেই। সেরা সময়ে নেই। রিশভ পান্ট এসেছে, মাত্র ২১ বছর বয়স। মিডলঅর্ডারে বাংলাদেশ একটু হলেও এগিয়ে আছে। ব্যাটিংয়ে ভারতের মূল শক্তি টপঅর্ডার। রোহিত-কোহলির সঙ্গে কেএল রাহুল। ক্লাসের কথা যদি বলি, রাহুলও কিন্তু তাদের সমপর্যায়ের ক্রিকেটার। তাদের ক্ষমতা আছে নিজের দিনে একাই ম্যাচ জিতিয়ে দেয়ার।’