চোট কাটিয়ে ফিরে আইপিএলে দারুণ বোলিং করেছেন সাকিব আল হাসান। খেলেছেন হায়দরাবাদের সবগুলো ম্যাচ। তাতে ফিটনেসে উন্নতির সঙ্গে বোলিংয়ে ধারাবাহিকতার মধ্যেই ছিলেন। দারুণ সময়টাতেই ভারতের মাটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজে নামছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। কিন্তু চোটে পড়ে মোস্তাফিজুর রহমানের ছিটকে যাওয়া কঠিন করে দিয়েছে টাইগারদের আফগান-চ্যালেঞ্জ।
দেরাদুনে দলের সঙ্গে যোগ দেয়ার আগে বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে সাকিব বলে গেলেন সে কথাই, ‘স্বাভাবিকভাবে একটু সমস্যা হবে। আমাদের দলের সেরা টি-টুয়েন্টি বোলার মোস্তাফিজ। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের জন্য কাজটা একটু কঠিন।’
দ্বিতীয় দফা অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর চোটের কারণে ছয়টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলতে পারেননি সাকিব। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুটি ও লঙ্কানদের মাটিতে নিধাস ট্রফির চার ম্যাচে ছিলেন বাইরে। খেলেছেন ওই টুর্নামেন্টের ফাইনাল। সাকিবের না থাকার সময়ে নেতৃত্ব সামলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এখন যখন সাকিব ফিরলেন, নেই দলের সেরা বোলারই। অধিনায়ক সাকিবের জন্য কাজটা তাই কঠিনই হচ্ছে।
মাশরাফী টি-টুয়েন্টিতে অবসর নেয়ার পর অধিনায়কের দায়িত্ব পান সাকিব। প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট ছিল সাউথ আফ্রিকায়। সেখানে ছোট ফরম্যাটের দুই ম্যাচেই হার। পরে নিধাস ট্রফির ফাইনালে হার। নেতৃত্বের তিন টি-টুয়েন্টিতেই জয় নেই। প্রথম জয়ের খোঁজে থাকা সাকিব তাই সেরা বোলারকে না পেয়ে কিছুটা হতাশই।
বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজের জায়গায় দলে এসেছেন ডানহাতি পেস-অলরাউন্ডার আবুল হাসান রাজু। যার কিনা মাত্র চার ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা। ফিজের অভাব কতটা পূরণ করতে পারবেন সেটি সময়ই বলে দেবে। তবে আবুল হাসানের জন্য এটি বড় সুযোগ বলেই মনে করছেন অধিনায়ক।
‘এটা (মোস্তাফিজের ছিটকে পড়া) কিন্তু আরেকটা সুযোগ অন্য বোলারদের, অন্য আরেকজন খেলোয়াড়ের। যার জন্য সুযোগটি হবে সে যেন ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারে। সেটাও তার জন্য বড় সুযোগ বলে আমি মনে করি।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে বিশেষ করে বিপিএলে কয়েক মৌসুম ধরে পারফর্ম করে যাচ্ছেন আবুল হাসান। সুযোগ সেভাবে আসছিল না। ফিজের ইনজুরিতে কপাল খুলেছে। শুক্রবার সকাল দশটায় রওনা হবেন দেরাদুনের উদ্দেশ্যে। চ্যানেল আই অনলাইনকে জানালেন সেরাটা দেয়ার প্রতিজ্ঞার কথা, ‘গত কয়েকবছর ধরে বিপিএল খুব ভালো যাচ্ছে। গত আসরে ১০ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছিলাম। আগের চেয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। নিজের সেরাটা দিয়েই খেলার চেষ্টা করব।’
আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে মোস্তাফিজের ২৪ ম্যাচে ৩৫ উইকেট। অন্যদিকে আবুল হাসানের ৪ ম্যাচে ২ উইকেট। পরিসংখ্যান বলছে দুই বোলারের মধ্যে পার্থক্য কতটা। আবার মোস্তাফিজ উইকেট টেকিং অপশন হলেও আবুল হাসানের সেভাবে পরীক্ষাই হয়নি।
আবুল হাসান অবশ্য সর্বোচ্চ চেষ্টার কথাই বলছেন। আর বাকিটা ছেড়ে দিচ্ছেন ভাগ্যের হাতে, ‘জানি না ওর(মোস্তাফিজ) জায়গা পূরণ করতে পারবো কিনা। সে আমাদের দেশের সেরা বোলার, সেটা সবাই জানি। আমি চেষ্টা করবো বিপিএলের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার। উইকেট পাওয়া অনেক সময় ভাগ্যের ব্যাপার। আমি সেটি বিশ্বাস করি। চেষ্টা করে যাবো, বাকিটা ভাগ্যের উপর।’