মোবাইল ব্যাংকিং খাতে বাংলাদেশ উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ২০১১ সালে চালুর পর থেকে মাত্র তিন বছরে দেশের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পরিমাণ ৭০ লাখ ছাড়িয়েছিল। সে বিচারে প্রতিবেশী দেশ ভারতে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর সময় ও সফলতার সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশের সফলতা অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন শিওর ক্যাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাহাদাত খান।
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের চতুর্থ দিনে আয়োজিত ‘দ্য প্রসপেক্ট অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস অব ডিজিটাল কারেন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে কিনোট স্পিকারের বক্তব্যে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
সাহাদাত খান বলেন: দেশে প্রযুক্তির দ্রুত প্রসার ঘটছে। বিকাশ, ইউক্যাশ, শিউরক্যাশ, রকেট, মাইক্যাশ এসব মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে দেশে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে।
এ সময় তিনি জানান, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ সারাবিশ্বেই বেশ সমাদৃত হয়েছে এবং সুনাম অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন: আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত গত সাত বছরে মোবাইলে অর্থ লেনদেন সেবা চালু করে যতটা সফলতা অর্জন করেছে , বাংলাদেশ তার চেয়ে কম সময়ে বেশি সফলতা পেয়েছে।
ইসলামী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর তাহের আহমেদ চৌধুরী বলেন: আগে দেশে বিটকয়েনের পেমেন্ট ব্যবস্থা বেশি পরিচিত না থাকলেও প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবার উন্নতির ফলে এখন আলোচনায় চলে এসেছে।
এ সময় তিনি জানান, গতকালও যে বিটকয়েনের বিনিময় মূল্য ১৩ হাজার ডলার ছিল, তা আজ ১৬ হাজার ডলার।
সিটিও ফোরামের প্রেসিডেন্ট তপন কান্তি সরকারের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা শ্যামল বি দাশ, সাউথ ইস্ট ব্যাংকের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক এস এম মাইনউদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, ডাচ বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাসেম প্রমুখ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৭৭ লাখ। দেশের ৭ লাখ ৭৩ হাজার এজেন্টের মাধ্যমে এসব হিসাবধারী লেনদেন করছেন।