রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে মোবাইল চোর ও চোরাই স্মার্টফোনের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন চক্রের মূলহোতাসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
সম্প্রতি রাজধানীর হাজারীবাগ থানার পশ্চিম ধানমন্ডি এলাকা, শাহবাগ থানার মোতালেব প্লাজা ও পল্টন থানার পাতাল মার্কেটে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা-দক্ষিণ বিভাগের গাড়ী চুরি/ছিনতাই প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিম।
সেসময় তাদের হেফাজত থেকে ১১৩টি স্মার্টফোন সেট, মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তনে ব্যবহৃত ডিভাইস, ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলো: মো. আব্দুস সাত্তার, মো. আবীর খান, মো. আতাউল ইসলাম ওরফে মুন্না, মো. বাপ্পি খান, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. লিটন, মো. রাব্বি, মো. নাজমুল ইসলাম, মো. রানা, মো. রাসেল, মো. রিয়াজ আহাম্মেদ, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. সোহাগ, মো. সজিব মিয়া, মো. আকিবুল ইসলাম ও মো. আরমান হোসেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের গাড়ী চুরি/ছিনতাই প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিমের এসআই বেলাল উদ্দিন জানান: গ্রেপ্তাররা ৩/৪ জনের কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে রাজধানীর ব্যস্ততম বাসস্ট্যান্ডে বাসের যাত্রীদের টার্গেট করে। টার্গেট করা ব্যক্তি বাসে উঠানামার সময় ভিড়ের মধ্যে কৌশলে তার ব্যবহৃত স্মার্ট ফোন চুরি করে। চোরাই ফোনগুলো তাদের দলনেতা মো. আব্দুস সাত্তার ও মো. জামাল মোল্লাদের (পলাতক) কাছে জমা দেয়। সাত্তার ও জামাল চোরাই মোবাইল গুলো লক-আনলক ও আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করার জন্যে আকিবুল ও আরমানকে দেয়। আকিবুল ও আরমান সফটওয়্যারের মাধ্যমে চোরাই মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে পুনরায় সাত্তার ও জামালকে দেয়। তারা মোবাইল বিক্রি করে এবং বিক্রি করা টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিত।
ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) মফিজুর রহমান পলাশ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় মামলা করা হয়েছে। পলাতক দু’জনকে গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
ডিএমপির এই কর্মকর্তা জানান: কারও হারিয়ে যাওয়া মোবাইলের আইএমইআই নম্বরের সাথে মিলে গেলে জিডির কপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আসমত আলীর (০১৯১২৭৭২৪১২) সাথে যোগাযোগ করলে মোবাইলটি ফেরত পাওয়া যাবে।