দেশের মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর টাওয়ার থেকে নিঃসৃত ক্ষতিকর রেডিয়েশনের (বিকীরণ) মাত্রা নির্ণয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থার বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন প্রতিবেদন নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
অপর দুটি সংস্থা হলো, আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) ও ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অন নন-আইওনাইজিং রেডিয়েশন প্রটেকশন।
এই তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থার বিশেষজ্ঞ মূল্যায়ন প্রতিবেদন নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা হলফনামা আকারে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে আদালতকে দিতে বলা হয়েছে।
সেইসঙ্গে এ বিষয়ে ২০১৩ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠন করা বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশকৃত ‘বিকিরণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নীতিমালা’ বাস্তবায়নে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তাও আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।
২০১২ সালে মোবাইল ফোনের টাওয়ারের বিকীরণ সংক্রান্ত রিট আবেদন করে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।
গত সপ্তাহে সেই রিটের শুনানিকালে আরেকটি সম্পূরক আবেদন করে এইচআরপিবি। সেই সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাই কোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন খন্দকার রেজা-ই-রাকিব। এছাড়া আদালতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই প্রতিবেদন তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী জিনাত হক।