ভারতে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া তাদের কেবিন ক্রু বা ‘এয়ার হোস্টেস’কে অতিরিক্ত ওজনের কারণে গ্রাউন্ড-ডিউটিতে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে যেসব কেবিন ক্রু বা বিমানসেবিকার ‘বডি মাস ইনডেক্স’ একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের চেয়ে বেশি, তারা আর ফ্লাইটে ডিউটি করতে পারবেন না।
শ্রমিক সংগঠনগুলো এয়ার ইন্ডিয়া-র এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করলেও বেসামরিক পরিবহন খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার ব্র্যান্ডকে আধুনিক করে তুলতে ‘মোটাসোটা’ এয়ারহোস্টেসদের সরিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
সরু আইলের মধ্যে অনেক সময় যাত্রীদের সাহায্য করতে এয়ারহোস্টেসদের বেশ বেগ পেতে হয়। সেখানে তারা নিজেরাই যদি নিজেরদের সামলান তাহলে সেটা তো মুশকিল বটেই! যাত্রীদের মধ্যে এই ধরনের ক্ষোভ সামাল দিতেই এয়ার ইন্ডিয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সোয়াশোরও বেশি ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ও এয়ারহোস্টেসকে তারা অন্য কাজে সরিয়ে দেবে।
আশিস ধরের মতে সিদ্ধান্তটা সঠিক, কারণ প্লেনের ভেতর আসলে নড়াচড়ার জায়গাও যে খুব অল্প। তার কথায়, ‘সরু আইলের মধ্যে অনেক সময় যাত্রীদের সাহায্য করতে এয়ারহোস্টেসদের বেশ বেগ পেতে হয়। সেখানে তারা নিজেরাই যদি বিশালবপু হন, তাহলে সেটা তো মুশকিল বটেই!’
কিন্তু দেশের শ্রমিক সংগঠনগুলি ইতিমধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়ার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এর আগে তারা একটা বয়সের বেশি এয়ারহোস্টেসের বসিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল, এখন তাদের বক্তব্য এয়ার ইন্ডিয়া ওজনের অজুহাতেও বৈষম্য করতে চাইছে।
তবে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ মনে করছেন ক্রু-দের হতে হবে চটপটে, সপ্রতিভ, সুন্দর দেখতে – আর তা না-হলে সেই এয়ারলাইনকে নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবেই।
ফলে মোটাদের সরিয়ে দেওয়া নিয়ে এত হইচইয়ের কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। এয়ারলাইন শিল্পে কেবিন ক্রু অনেক ধরনের আপদকালীন পরিস্থিতি সামলাতে হয় বলেই তাদের ফিটনেসের সঙ্গে কোনও আপস করা সম্ভব নয়।