রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানের সড়কে দুর্ঘটনায় রামপুরা থানার ওসি তদন্তসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
আহতদের উদ্ধার করে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে আহতদের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়েছে। মোটরসাইকেলটি জব্দ ও চালক শাতিল আহমেদকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, রামপুরা থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মাসুদ পারভেজ, চালক কনস্টেবল মোহসিন এবং আনসার আকিদুল ইসলাম।
ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগ জানায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পশ্চিম দিক থেকে রামপুরা থানা পুলিশের ওই গাড়িটি আসছিল। পূর্ব দিক থেকে একটি মোটরসাইকেল উল্টো লেনে পশ্চিমের দিকে যাচ্ছিল। হঠাৎ মোটরসাইকেলটি পুলিশের পিকআপ ভ্যানের সামনে পড়ে ইউটার্ন নিতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটে।
মোটরসাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে পিকআপটি ফুটপাতে তুলে দেন। সেখানে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে সংঘর্ষে পিকআপের সামনের ইঞ্জিনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। আঘাতপ্রাপ্ত হন পিকআপে থাকা তিনজনই।
এরপর এপিবিএন ও শেরেবাংলা নগর থানার তত্ত্বাবধায়নে সোয়া ১১ টার দিকে গাড়িটি র্যাকারের মাধ্যেমে পিকআপ ভ্যান সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়। রাস্তার একপাশে এই দুর্ঘটনা ঘটায় যান চলাচলে কোনও বিঘ্ন হয়নি।
শেরে বাংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুন্সী বলেন, গাড়িটি রামপুরা থানার গাড়ি। জানতে পেরেছি, গাড়ির চালক তদন্ত কর্মকর্তাকে নিয়ে চন্দ্রিমা উদ্যানের লেক রোড দিয়ে যাওয়ার সময় সামনে দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল এসে পড়ে। সেটাকে বাঁচাতে গিয়ে গাড়িটি ফুটপাতে উঠে যায়।
শেরে বাংলা নগর থানা সূত্রে জানা যায়, মোটরসাইকেলটি জব্দ ও চালক সাতিল আহমেদকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তিনি পশ্চিম শেওড়া পাড়ায় থাকেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কুদ্দুস ফকির বলেন, আমাদের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এতে তিন জন আহত হয়েছেন। তাদের রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল থেকে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।