চলতি বছরের মে মাসের তুলনায় জুনে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। তবে খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দাম বেড়েছে।
মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ, জুনে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি কমেছে দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
জুনে সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশে; যা তার আগের মাস মে’তে ছিল ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। একই সাথে কমেছে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতিও। এ হার কমে এখন দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশে। এটি মে মাসে ছিল ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এ হার দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। মে মাসে এই হার ছিল ৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গত ৬ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে মূল্যস্ফীতি কমছে। আন্তর্জাতিক বাজারে চিনি, ডাল ও তেলের দাম কমায় মূল্যস্ফীতি কমেছে। চালের দাম বাড়া-কমার মধ্যে আছে। তবে এবার দেশে বাম্পার ফসল হয়েছে। চালের স্টকও বেশি আছে।
বিবিএসের মতে, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়িভাড়া, বিদ্যুৎ, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম জুন মাসে বেড়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অর্থবছরের শুরুতে বেড়ে গেলেও সবকিছু মিলিয়ে মূল্যস্ফীতি কম আছে। গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি একই রয়েছে। এ হার ৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশে যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।
শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৬৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশে। এটি মে মাসে ছিল ৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।