এলএনজি যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। আগামী মাসের শেষদিকে জাতীয় গ্যাস পাইপ লাইনে যুক্ত হচ্ছে এলএনজি। এর মাধ্যমে জ্বালানি তেল, এলপিজি ও বিদ্যুতের পর আমদানি শুরু হচ্ছে গ্যাসের।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, গ্যাসের সংকট মোকাবিলার সঙ্গে শিল্প ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে এলএনজি আরও গতি আনবে।
সাধারণ প্রাকৃতিক গ্যাসকে মাইনাস ১৬০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নামিয়ে ঠাণ্ডা করলে তা এলএনজি বা তরল প্রাকৃতিক গ্যাসে রূপান্তরিত হয়। তরলে পরিণত হলে এর আয়তন কমে যায় ৬শ’ গুণ। পরিবহনের সুবিধার্থে গ্যাসকে তরল করা হলেও আবার পাইপলাইনে দেয়া হয় গ্যাসের রূপে ফিরিয়ে এনে।
আর সেই এলএনজি বিশাল আয়তনের জাহাজে করে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছে কক্সবাজারের মহেশখালীতে। আপাতত জাহাজেই থাকবে এলএনজি। সেখান থেকে যুক্ত হবে জাতীয় গ্যাস পাইপলাইনে।
কুইক রেন্টালের মতো জরুরি গ্যাস সংকট মোকাবেলার জন্য এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তবে উচ্চমূল্যের এলএনজির দাম কিভাবে নির্ধারণ হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
সরকারের লক্ষ্য, প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন ২শ’ মিলিয়ন ঘনমিটার এলএনজি জাতীয় পাইপ লাইনে যুক্ত হবে, যা পর্যায়ক্রমে বাড়বে। এলএনজি ভিত্তিক প্রায় ৪ হাজার মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। চলছে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের প্রক্রিয়া।
সঞ্জয় চাকীর ভিডিও রিপোর্ট: